আজ ১৪ মে চলে গিয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক দেবেশ রায়। সমাজ এবং রাজনৈতিক জীবনে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তিনি। বহুদিন শ্রমিকদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। লিখেছেন বহুমাত্রিক ও বহুস্বরের লেখা
বরিশালের যোগেন মণ্ডলের কারিগর
তমাল সাহা
বরিশালের যোগেন মণ্ডলের কারিগরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মণিদার বাড়ি বাগুইহাটিতে বল্মীকি আবাসনে।
সে অনেকদিনের কথা।
আসলে, কথা তো শব্দশক্তির
মতো দেখা যায় না,শোনা যায়।
আর স্বনক না থাকলে শব্দ সৃষ্টি হয় না।
সেখানে অনেক কথা হয়েছিল। সে অনেক ‘মফস্বলী বৃত্তান্ত’।
‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ তো তার হাতের মুঠোয় ছিল। রাজবংশীদের সে তো চিনতোই। বাঘারু, সে এক চরিত্র বটে। রীতিমতো তোলপাড় করে দিয়েছিল।
‘একটি ইচ্ছামৃত্যুর প্রতিবেদন’, সে যেমন লিখেছিল, ‘মানুষ খুন করে কেন’ তাও তার জানা ছিল।
রাজনৈতিক ঘটনার বিশ্লেষণ করতে পারতো সে। ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন?’ সে প্রশ্ন তুলেছিল।
‘শরীরে সর্বস্বতা’ অদ্ভুত সেসব কান্ড কারখানা তার লেখা।
শুধু এসব নয়, জীবন ও সংগ্রামের মিশেল দিয়ে সে তৈরি করতো সাহিত্যের রসদ। ‘কোলকাতা ও গোপাল’, ‘উদ্বাস্তু’কে সে তুলে এনেছিল রাজনৈতিক বীক্ষণে। বহুমাত্রিক, বহস্বরেই তাকে চেনা যায়।
বরিশালের যোগেন মন্ডল ‘যযাতি’ হয়ে গেল কি না জানিনা
তবে ভূমন্ডলের সঙ্গে তার সান্নিধ্য ছিল,
এবার বোধহয় অন্তরীক্ষের সঙ্গে তার সংযোগ স্থাপিত হলো।
স্বনক ছাড়া শব্দ সৃষ্টি হয় না।
স্বনক শব্দগুলি রেখে গেছে
মুদ্রিত আক্ষরিকে বইয়ের পাতায়….