কি লাভ কি লোকসান কী জানি! কত রকম বই পাগল, লেখা পাগল মানুষ থাকে! এইসব দেখতে দেখতে আমার বেলা পড়তে থাকে আর কেমন যেন ভালোও লাগে…
আমার বইমেলা

বন্ধুর দোকান
তমাল সাহা

লেখা খারাপ না ভালো, কার লেখা কত জমকালো
সে বিষয়ে না যাওয়াই ভালো।
লেখার আমি কী বুঝি, কার লেখায় ছড়ায় কত আলো!

কলম কালি কাগজ সঙ্গে মগজ এই চারের সমন্বয়
এটা তো বুঝি, অন্য কাজের চেয়ে খারাপ কিছু নয়।
ছাইপাশ যাই লিখুক শ্রম তো দিতে হয়!
উর্বর জমি না হোক মনে তো চলে কিছু ভাবনা
বন্ধু বই ভালোবাসে, লেখার ইচ্ছে আছে
এটা তো কিছু কম না!
লেখার কৌশল কারুকাজ হয়তো সে জানে না।

বই সাজানো স্টলে তার সঙ্গে দেখা
বলে, যে কদিন বইমেলা চলে, একবার করে এসো
আড্ডা দেওয়া যাবে, বই না হয় নাই বিক্রি হলো!
এইটুকুই বা কম কিসে, চলো যাই, বইমেলায় চলো!

কদিন তার বুক স্টলে গিয়ে বসি, বিক্রিবাট্টার জোর কম
বন্ধু আশা করে আছে, শনিবার রবিবার তো হাতে আছে! বিক্রি হবে নাকি জোর কদম!

তার আর আমার সকাল দুপুর পেরিয়ে গেছে– প্রান্তিক বেলা।
জীবন! বই! বই! জীবন!
কি লাভ কি লোকসান চলে এই খেলা।
প্রজন্ম তার কন্যা- জামাতার সঙ্গে পরিচয় হয়ে যায়।
বইমেলার সাত দিন কেটে গেল
পশ্চিম দিগন্তে গায়ে শীতের আলো সূর্য অস্ত যায়।