বড়দিনের কবিতা
তমাল সাহা

এক)

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে
চারদিন পড়বে প্রচণ্ড শীত।
এর কদিন পরেই বাজবে ক্যারোল সঙ্গীত!
আমি বেরিয়ে পড়েছি রাস্তায়–
হাঁটতে হাঁটতে যাই খালধারের বস্তিতে।
এরা কারা!
অন্নবস্ত্র নেই কিন্তু আছে স্বস্তিতে।

এরা জানে কি করে রুখে দিতে হয় শীত
কাঠকুটো করছে জড়ো,এ কোন সমিধ!
জ্বালবে আগুন, খালের পাশে সাগ্নিক পুরোহিত!

দুই)

কনকনে ঠাণ্ডা,হাত দুটো জমে হিম।
নিমগাছ স্তব্ধ দাঁড়িয়ে আছে–
কাকের বাসায় শুকনো ডালপালার ভেতর
দুটো শান্ত নীল ডিম।

উষ্ণ হতে চাও!
প্রেমিকার স্তন স্পর্শের আগে
চলো ফুটপাতের দিকে যাই।
দেখি শুয়ে থাকা রক্তহীন নারীটির
বুকে সেটে থাকা চুপসানো মাই!

দেখি হিম্মৎ কত!
এবার প্রেমিকাকে করো সোহাগ।
কোথায় গেল সুখ তোমার–
মধ্যবিত্ত প্রেম, ভালোবাসা, অনুরাগ!

তিন)

কী ঠাণ্ডা! কী ঠাণ্ডা!
তবুও বেরিয়েছো শিশুটির হাত ধরে
গায়ে তার তুলোঠাসা রঙিন জ্যাকেট।
বড়দিন! কিনতে হবে তো কেকের প্যাকেট!

ভিখিরি শিশুটি তুড়ি মেরে শীত
দেখো দাঁড়িয়ে আছে
কেকের দোকানের পাশে উদোম গায়ে।
আনন্দে দেখছে
সাজানো সান্তাক্লস ফারগাছ–বেচাকেনা।
তার ত্বক-ই তো ঠাণ্ডা-প্রুফ, শীত লাগেনা!