অবতক খবর,১১ ডিসেম্বর,পশ্চিম মেদিনীপুর: গত ২০২১ সাল থেকে রাজ্য সরকার থেকে বকেয়া প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচ্ছেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের ঠিকাদার সমিতির সদস্যরা। এবার সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসল মঞ্চ বেঁধে। পাশাপাশি তারা ২০১৮ এর পর থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা বাড়ানোর দাবি তোলেন। এদিন শহরের শতাধিক ঠিকাদার এই অবস্থার মঞ্চে উপস্থিত হয়ে দুপুর তিনটে পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যান। অবিলম্বে ২০২১ বিধানসভা ভোটে সিআরপিএফ ক্যাম্পের বকেয়া পেমেন্ট, ১০০ দিনের কাজের মাল সরবরাহের বকেয়া, পথশ্রী- ৩ এর বকেয়া পেমেন্ট সহ ‘যশ’ ঝড়ের বকেয়া পেমেন্টের দাবিতে এবার অবস্থান বিক্ষোভে বসলো পশ্চিম মেদিনীপুর ঠিকাদার সমিতির সদস্যরা।

এইদিন রবীন্দ্রনগরে নিজের অফিসের সামনে মঞ্চ বেঁধে তারা অবস্থান বিক্ষোভ সামিল হয়। এইদিন মূলত ‘ফেডারেশন অফ কন্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন পশ্চিমবঙ্গ’ এর আহবানে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট কন্টাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন উদ্যোগে এই অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।এই সমিতির ২০১৮ সালে পুরনো দরপত্র, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী পূর্ত ও সেচ দপ্তর ও সমস্ত সরকারি দপ্তরে সিডিউল অফ রেটস বৃদ্ধি হয়নি কেন তারও জবাব চাওয়া হয় এই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে।

এদিন এই অবস্থান-বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন কমিটির রাজ্যের জেনারেল সেক্রেটারি আশীষ কুমার ধর, জেলার জেলা সম্পাদক বানীব্রত সিনহা, সমিতির চেয়ারম্যান তাপস মান্না সহ সমস্ত ঠিকাদাররা।তাদের এদিন এও দাবি ছিল পঞ্চায়েতের কাজ, ইরিগেশন এর কাজ সহ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা গত চার বছর ধরে তাদের বকেয়া রয়েছে তা পাওনা গন্ডায় মিটিয়ে দেওয়ার।

তাদের দাবি এই অবস্থান বিক্ষোভের পর আগামী জানুয়ারি মাসে দীঘায় এক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে।সেখানে তাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে যেমন আলাপ-আলোচনা হবে ঠিক তেমনি আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েও আলাপ আলোচনা হবে।আর তাতে উত্তর না বেরিয়ে হলে আগামী দিনে আন্দোলনের পটভূমিকা নেওয়া হবে ওই মঞ্চ থেকে।

এই বিষয়ে এদিন আশীষ কুমার ধর বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন কাজ আমরা করে থাকি দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে আমাদের কাজের ক্ষেত্রে টাকা বাড়ানো হয়নি। এরই পাশাপাশি গত চার বছর ধরে বকেয়া টাকা দেয়নি রাজ্য সরকার। আমরা নিরুপায় হয়েই এই অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল হয়েছি। আমরা চাইছি রাজ্য সরকার আমাদের টাকা পাওনা গন্ডায় যেন মিটিয়ে দেয়।”