আজ ২৩ জুন, সেই আমৃত্যু তেরিয়া ক্রোধের মানুষটির জন্মদিন। তাঁর নাম নবারুণ ভট্টাচার্য

ফ্যাতাড়ু পগারপার
তমাল সাহা

এই যে মশাইরা শুনছেন
পুরন্দর ভাট এই গ্রহ থেকে ফুটেছে।
শালা,খুব বাড় বেড়েছিল।
রণজয়কে পাশে বসিয়ে শহিদ মিনারের তলায় কবিতা পড়বে বলেছিল।
নকশালি তেরিয়া ক্রোধ দেখাতো লেখায়!
খিস্তি- খেউড়,অশ্লীল শব্দ নিয়ে
সাহিত্যের বাজার তৈরি করছিল!

শালা মরেছে।
সব সময় একটা না একটা
অন্তর্ঘাতের ষড়যন্ত্র করেছে
রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে!
গোপনে ডিনামাইট,ল্যান্ডমাইন
চালান করে দিত বাক্যবিন্যাসে।
লাইব্রেরি ঘুরে ঘুরে বইয়ের ভেতর
রেখে দিত মলোটভ ককটেল।
কখন যে বিস্ফোরণ ঘটাবে
কে জানতো?

দলবেঁধে ঘুরছিল ভোলা,গ্যাঁড়া,পাঁচু,
চোক্তার,মার্ডারারের ভাই,এমন কি
বীরেনের বউ,বেবি ফোয়ারাকে নিয়ে।
ঘাঁটি গেড়েছিল বস্তি,চুল্লুর ঠেক,
বাস ডিপো,রেড লাইট এরিয়া,
লকআউট কারখানা,রেলইয়ার্ড,
শ্মশানের চৌতারায়।
ফ্যাতাড়ুদের নিয়ে গেরিলা ফৌজ
তৈরি করেছিল
বাতাস থেকে যুদ্ধ করবে বলে।
আর কাঙাল মালসাটদের নিয়ে
পদাতিক বাহিনি গঠনের পরিকল্পনায় মেতেছিল।

শালা মরেছে!সত্যিই কি মরেছে,
নাকি ঋক্ষমন্ডলে চলে গেল
ওপর থেকে নেতৃত্ব দেবে বলে।

আরেকটি নাশকতার জন্য
প্রস্তুত থাকুন পাঠকবর্গ।