অবতক খবর,১৫ নভেম্বর: আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন অদ্ভুত এক ঘটনা, জয়নগরের হত্যাকান্ড নিয়ে পুলিশের যে নাটক চলছে তা রাজ্যের মানুষ সব দেখতে পাচ্ছে তিনি বলেন আমি এর আগেও বলেছি গতদিনও বলেছি এবং আজকেও বলছি এই খুন তৃণমূলের নিজেদের ভিতর বখরা নিয়ে খুন। সিসিটিভিতে কখন গুলি মারলো কারা মারলো সেটা ছাড়া সবই দেখানো হচ্ছে।

লোকে দৌড়ে পালাচ্ছে সেটি দেখানো হচ্ছে কিন্তু যখন শুট আউট হলো সেই ফুটে সিসিটিভিতে এলো না সবাই বুঝতে পারছে পুলিশের এই নাটক যতক্ষণ না দিদি বলবে ততক্ষণ পুলিশের কোন ক্ষমতা নাই কোন কিছু বলা বা করার। যাকে ধরা হয়েছে সে বলছে বড় ভাই কি নাম নাসির ভাই আর পুলিশ বলছে কে রে ভাই পুলিশ কিছুই জানছে না। জয়নগরে পুলিশ কচি খোকা হয়ে গিয়েছে, কিচ্ছু বুঝছেনা বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন পুলিশ এখন খুঁজেই আছে যতক্ষণ দিদি না বলবে যে তুমি থাম ততক্ষণ পুলিশ খুঁজেই যাবে যখন দিদি বলবে তখন পুলিশ উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে দেখবেন তখন কয়েকজন সাধারণ মানুষকে ধরে এনে এই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব কে ধামাচাপা দিতে সাধারণ মানুষকে পুলিশ বলির পাঠা করবে। অধীর আবার বললেন তৃণমূলের মধ্যে পয়সা নিয়ে এই খুন।

এটা বুঝতে কোন কিছুর দরকার হয় না তিন দিন হয়ে গেল পুলিশ কিছু বুঝছে না। অধীর বলেন অদ্ভুত ব্যাপার পুলিশকে নাম বলে দিচ্ছে সেই নাম মিডিয়া কাগজের ছড়াছড়ি হচ্ছে কিন্তু পুলিশ বুঝতে পারছে না কে সেই ব্যাক্তি? তিনি বলেন সিসিটিভিতে সবকিছু ধরা পড়ছে কিন্তু খুনিদের চেহারা ধরা পড়ছে না। এ এক মজার ব্যাপার পুলিশের বললেন অধীর। নবদ্বীপ পৌরসভা উৎপল দত্ত রচিত নাটক ব্যারিকেট বন্ধ করে দেয়া সম্বন্ধে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন যে চরিত্রের দিক থেকে দিদি আর মোদি কোন ফারাক নাই এরা দুজনেই এক মোদির বিরুদ্ধে যদি কোন ছবি দেখানো হয় তার ব্যবস্থা হয়। অধীর বলেন এরা স্বৈরাচারী। তিনি বলেন স্বৈরাচারী একমাত্র প্রাণী যারা সমালোচনা বরদাস্ত করে না তিনি বলেন না নাটকের অধিকার আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। মত ব্যক্ত করার অধিকার সংবিধান দিয়েছে মোদি দিদি কেউ দেয়নি। সেই অধিকার কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নাই বললেন অধীর। তিনি একথাও বলেন সেই নাট্য সংস্থা যদি মনে করেন এই সরকারের আপনাদের বাধা দেয়া র ক্ষমতা থাকবে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন সাংস্কৃতিক জগতের উপর এটা এক ধরনের সন্ত্রাস, এটা অন্যায় হচ্ছে, এটাকে আমরা অবশ্যই বলতে পারি সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস।