অবতক খবর,১১ সেপ্টেম্বরঃ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ দলীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন। তিনি রাণীনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত সম্বন্ধে বলেন পরিকল্পিতভাবে রানীনগর পঞ্চায়েত সমিতি যাতে কংগ্রেস এবং বাম যৌথভাবে দখল করতে না পারে তার জন্য পুলিশের একটি অংশ টিএমসির হার্মাদ বাহিনী উত্তেজনা তৈরি করে তারা এই বাতাবরণ তৈরি করে তারা দেখাতে চাইছে আইনশৃংখলার অবনতি হয়েছে তাই তাদের ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার রানীনগর থানার ওসি কে চ্যালেঞ্জ করে বলেন প্রতি জায়গায় সিসিটিভি ফুটে যাচ্ছে আপনারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখুন। দেখুন ওখানকার পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ঘটনার সময় ওখানে ছিলেন কিনা তিনি কোন উত্তেজনা করেছে কিনা। তিনি আরো বলেন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানের বক্তৃতা রেকর্ড বার করা হোক। তা না করে পঞ্চায়েত দখল করবার জন্য পঞ্চায়েতের সদস্যদের ভয় দেখানোর জন্য শুধুমাত্র এই কারণে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান কে গ্রেফতার করা হয়। অধীর বলেন যাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি রাজ করতে পারে তার জন্য শাসক দল এবং পুলিশ প্রশাসন একত্রিতভাবে এই ষড়যন্ত্র রচনা করলেন। তিনি বলেন মানুষের প্রতিরোধে তৃণমূল সন্ত্রাস করতে না পারায় পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে দিয়ে সরাসরি এই সন্ত্রাস করানো হচ্ছে বলে দাবি করেন অধীর।

তিনি আরো বলেন এই সন্ত্রাসের যে নায়ক তাকে প্রমোশনও দিয়ে দেয়া হয়েছে, এখানকার সব পুলিশ সবকিছু জানে তা সত্ত্বেও তারা শাসক দলের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে চায় না কারণ তারা দেখেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে চারণ করলেই তাকে অন্যত্র চলে যেতে হবে। সেই কারণে তারা ঠিক করেছেন দলদাস হিসাবে থাকাই শ্রেয় বললেন অধীর। তিনি বলেন একটা নির্বাচিত ব্যবস্থাকে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই সন্ত্রাস চালিয়ে পঞ্চায়েতকে দখল করার জন্য যে চিত্রনাট্য তৈরি করল শাসক দল, তা আবার মানুষ দেখতে পেলো। অধীর বলে এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব? তিনি বলেন আজ বাংলার মানুষের সন্ত্রাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যাওয়ার কোন জায়গা নেই। অভিযোগ জানাতে গেলেই মিথ্যা মামলায় আপনাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হবে, তাহলে মানুষ কোথায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে। সেই কারণে কোর্টের দরজায় যাওয়া ছাড়া এই অত্যাচারিত বাংলার মানুষের আর কোন উপায় নাই বললেন অধীর।

তিনি আরো বলেন এই অত্যাচারিত মানুষের মধ্যে আজ আমরাও পড়ে আছি কারণ আর যারা পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেস এবং বামের তাদের আমরা টিকিট দিয়ে দাঁড় করিয়েছিলাম। কেবলমাত্র মানুষ তাদেরকে ভোট দিয়ে জয়লাভ করেছে শাসক দলের প্রার্থীদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সেই কারণে মানুষের ভোটে জয়লাভ না করতে পেরে তৃণমূল দল আজ তার প্রশাসন কে নিয়ে জয়ী প্রার্থীদের উপর নানান রকম ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে কেবলমাত্র পঞ্চায়েত অধিকার করার জন্য। সুতরাং এরা ভোট চায়না, ভোটের নামে প্রহসন করে এদের একটি কাজ ছলে বলে কৌশলে যে কোনভাবে পঞ্চায়েত দখল করে কি করে লুটতরাস চালাবে সেটাই এদের ভাবনা তার জন্য মানুষের যে গণতান্ত্রিক অধিকার ভোট সেই ভোটের ফলাফল তাদের বিরুদ্ধে গেলেই শাসকদলের এই ভয়ানক রূপ দেখা যাবে বললেন অধীর।