অবতাক খবর সংবাদদাতা :: আমফান ঝড়ের পর মানুষের পাশে দাঁড়াতে ক্ষতিগ্রস্তদের দুদিনের ভেতরে তালিকা তৈরি করে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরর বাড়ির ছবি তুলে আবেদন করতেই তার দু দিনের ভেতরে ব্যাংকে টাকা মিটিয়ে দেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই দ্রুততার সুযোগ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও বহু মানুষ আবেদন করে ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে টাকা তুলে নেন। আর এই নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে আন্দোলনের নামে বিরোধীদল। তদন্তে দেখা যায় যে বহু তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান উপপ্রধান টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিরোধীদের চাপে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রী তাদের অভিযোগ শুনেন।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে এই ঘোষণা করেন যে যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাদের সঠিক তালিকা তৈরি করতে হবে এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও টাকা পেয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে । এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একটি ফর্ম তৈরী করা হয়েছে । এই ফরম ফিলাপ করে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে বনগাঁ ব্লকের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যসহ দুজন ব্যক্তি ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিয়েছেন এবং গাইঘাটা ব্লকের ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তর 24 পরগনা গারুলিয়া পৌরসভা এলাকাতেও কিছু মানুষ অহেতুক ক্ষতিপূরণ তুলে নিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত নিতে উদ্যোগ নিয়েছে পৌর সভা।
বিনা কারণে অমফানের বাহানায় যারা যারা টাকা তুলে নিয়েছেন তাদের কে খুঁজে বার করার কাজ শুরু হয়েছে। টাকা জমা নেওয়ার জন্য ব্লক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অফিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।