উৎপল রায় :: অবতক খবর :: জলপাইগুড়ি :: কোভিড-১৯ এর তাণ্ডবে সারাবিশ্বের মানুষ যখন বিপর্যস্ত তখন প্রকৃতিতে ফিরেছে প্রাণ। গত দু-মাস ধরে সারাবিশ্বের মানুষ একপ্রকার ঘরবন্দি। প্রকৃতির ওপর চালানোর অবিচার কমে আসায় প্রকৃতি যেন নিজেকে মেলে ধরেছে। ফিরেছে স্বমহিমায়। এই বাস্তবতা থেকে নতুন করে শিখতে শুরু করেছে মানুষ। তবে সেই শিক্ষা করোনার পরও থাকবে কিনা এখন সেটিই দেখার বিষয়।

চলতি বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য টাইম ফর নেচার। অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এখনই সময়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষার যে তাগিদ দুনিয়াব্যাপি আলোচিত হচ্ছিলো মানুষের অতিপ্রয়োজনীয়তা তাতে বাঁধ সাধছিল। করোনা মানুষের সেই অতিপ্রয়োজনীতা কমিয়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করছে।
শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি এলাকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসে উদযাপন করেন ময়নাগুড়ি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিনে তারা ময়নাগুড়ি ট্রাফিক মোড় এলাকায় ৫০০ টি পথচলতি মানুষের হাতে গাছ তুলে দেয়। এদিনে উপস্থিত ছিলেন, ময়নাগুড়ি ১ নং তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ডালিম রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া, ময়নাগুড়ি ট্রাফিক ওসি মানিক দাস, ময়নাগুড়ি ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কার্যকরী সভাপতি সৌম্যদীপ গোপ।
ময়নাগুড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া বলেন,”জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ না করাতে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্যই শুধু নষ্ট হচ্ছে না আমরা এর মাধ্যমে আমাদের জীবনকে ধ্বংস করছি। পশ্চিমবঙ্গে যে আমফান ঘূর্ণিঝড় হয় তা আমাদের সেই শিক্ষা দিচ্ছে উল্লেখ করে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে আমরা জীববৈচিত্র্য রক্ষা করলে শুধু খাদ্যেরই যোগান পাব না বরং ওষুধসহ নির্মল পানি এবং বাতাস পাব। যা মানুষের সুস্থতার বড় অনুষঙ্গ হতে পারে। অন্যদিকে করোনার প্রভাবে গত দু’মাস ধরে যানবাহন ও কল কারখানা সবই বন্ধ সে কারণেই দূষণের হাত থেকে অনেকটাই মুক্ত। এদিন ময়নাগুড়ি ট্রাফিক মোড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করি।









