প্রকাশ্যে বৃষ্টির গান
তমাল সাহা
যারা বৃষ্টির জন্য
কাঁদুনি গাইতে এসেছিল তাদের মধ্যে আমার প্রেমিকা বন্ধুটিও ছিল।
তারা ঠিক করেছিল এবার
যুগলে তারা ভিক্টোরিয়ায় গিয়ে
বারিধারায় অবগাহন করবে।
আর যে যার ঘনিষ্ঠের ওষ্ঠ স্পর্শ করবে।
ওরা বলেছিল,অমৃত যে কোথায় লুকিয়ে থাকে!
আমি বলেছিলুম,
বারিধারা না লিখে বৃষ্টির জল বা
ওষ্ঠ না লিখে ঠোঁট বা
স্পর্শের বদলে ছোঁয়া লিখলে হয়না?
ওরা আলোচনায় বসলো।
বললো,বারিধারার মধ্যে একটা ধ্রুপদী ভাব আছে।
আমি বলি, তবে ঠোঁটে অসুবিধে কি?
ওরা বলে, ওষ্ঠস্পর্শ একটি জোড়শব্দ। এই জোড় শব্দটির মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠতার জোর,একটা মাদকতা আছে,
জাদু গো! জাদু!
তাই হলো, সেদিন প্রবল বারিপাত।
আমরা ভিজলুম একদম কাকভেজা।
আমাদের কোনো জ্বর হল না। বারিপাতের আগেই আমাদের হৃদয়ে মনন—
নিরাময়-তাপমাত্রার প্রচুর সঞ্চয় ছিল।
সমর্পণের কাছে বৃষ্টি পরাজিত হলো।
বৃষ্টি বললো, এবার বড্ড দেরিতে এলুম।
কেন জানো?
দীর্ঘ প্রতীক্ষায় ভালোবাসা ঘন হয়।
স্বতঃস্ফূর্ত পারস্পরিক লগ্নতা—
একটা অন্যসুখে ঋদ্ধ করে চৈতন্য!