অবতক খবর ১৭ ডিসেম্বর: ইনসাফ যাত্রার ৪৫ তম দিনে ডিওয়াইএফ নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি প্রশ্ন তুললেন, পুলিশের পোশাক কি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে? নদিয়া জেলা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা প্রবেশের মুখে এই প্রশ্নই তুললেন নেত্রী। এদিন ইনসাফ যাত্রা চাকদহ অতিক্রম করে হরিণঘাটার বিরহী পর্যন্ত পৌঁছানোর পরই বাধা প্রাপ্ত হয়। অভিযোগ কয়েকজন পুলিশ কর্মী এই পদযাত্রীদের উদ্দেশে চোখ রাঙানি এবং গালিগালাজ শুরু করে দেন। ফলে পদযাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে বিরহী বাজার এলাকা এবং এর প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিরহী মোড়ে অবরোধ শুরু করে দেন পদযাত্রীরা। পরবর্তীতে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে অবস্থার সামাল দেন। কিন্তু যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি তখন পুলিশের মুখোমুখি।তাদের কাছে প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা চোর ডাকাত নই।পুলিশের পোশাক পরে তিনটে স্টার লাগিয়ে তাহলে কারা আমাদের উদ্দেশ্য গালিগালাজ বর্ষণ করেছে এটা জানাতে হবে আমাদের। সেই পুলিশ কারা, সেটা এখন আপনারা বলছেন জানি না। আপনারা তাদের চিনতেই পারছেন না! তাহলে কি পুলিশের পোশাক ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে? তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন ,এই যুবযাত্রা রুখবার হিম্মত কারুর নেই।
শেষপর্যন্ত এই পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ইনসাফ যাত্রা কাঁচরাপাড়া এসে পৌঁছতে রাত সাড়ে দশটা হয়ে যায়। রাত বাড়লেও পারদের মাত্রা অনেক নিচে নেমে গেলেও এই ঠাণ্ডায় সদস্য সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার কোনো ঘাটতি ছিল না।

বিশাল জন সমাগম করে ব্যান্ড বাজিয়ে ইনসাফ যাত্রীদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় থানা মোড়ে। কাঁচরাপাড়া থানা মোড় থেকে যাত্রা শুরু করে লেনিন সরণি ধরে গান্ধী মোড়ে গান্ধীজীর মূর্তিতে মাল্যদান করে কবি রবীন্দ্র পথে এসে পড়ে ইনসাফ যাত্রার মিছিল।

পরবর্তীতে কবিগুরু রবীন্দ্র পথ ধরে শ্রীলক্ষ্মী সিনেমা অঞ্চলের সামনে রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা দিয়ে কলেজ মোড়ে এসে আজকের যাত্রা শেষ হয়। এবং সংলগ্ন অঞ্চলে বক্তব্য রাখেন নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি।

আজ লিচু বাগান অঞ্চলে আম্বেদকর বাজারের সামনে আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করে ইনসাফ যাত্রা ফের শুরু হয়।