পুজো পরিক্রমা
তমাল সাহা
বুর্জ খলিফা
বুর্জোয়া অর্থ শিখেছি যৌবনের সন্ধিক্ষণে
বুর্জ শব্দের অর্থ শিখি এই প্রৌঢ়বেলা–
শারদ শুভক্ষণে।
খলিফা তো ধর্মগুরু,মন্দার্থে সুচতুর জন
যারা মণ্ডপে এসব দেখায় তারা নেতাটেতা,
নিশ্চিত দুর্জন।
হা-পিত্যেশের দেশে
একটা মণ্ডপে এত টাকা কোত্থেকে আসে
কারা কারা মদত জোগায়, থাকে আশেপাশে?
লেখাপড়া কম জানি,পরে শুনি
এটা দুনিয়ার সর্বোচ্চ বিল্ডিং– দুবাই টাওয়ার
গুগল খুলে চমকে যাই, আহা কী বাহার!
বাপের জন্মেও কোনদিন যেতে পারবনা দুবাই
তোমার দৌলতে প্রতিরূপ দেখি মন্ডপে
তোমাকে কমরেডিয় কায়দায় স্যালুট জানাই।
তবে কানে কানে বলি, নাহলে শুনবে সবাই
এবার পুজোয় শাসকীয় ৭০ হাজার ও তোমার দাপট!
এত আয়োজন জাঁক! কিছু হলো কি কামাই?
পরে জানি বুর্জ মানে স্তম্ভ
নেতাগুরু তোমরা! কোথায় গিয়ে করবে শেষ
স্তম্ভ দিয়ে তো আরম্ভ!
ডাউনটাউন মানে বুঝি, এল ই ডি লাইটের খেলা,কী দারুণ কারিগরি!
ছন্নছাড়া রাজ্যে শ্রীভূমিতে ডিজনিল্যান্ড
চীন বিরোধী দেশে চাইনিজ মাল– চীনের হোটেল কল্যাণীতে
কী করেছে দেখেছিস মাইরি!
কার টাকা ঢোকে কার পকেটেতে?
মানুষের মনে আর কোনো পাপ নেই দেখো মন্দির চারধাম।
এসব কথা লিখো না, পাপ হবে
দুর্গার পায়ে ঢেলে দাও সমস্ত প্রণাম।
বুর্জের আগে আল বসালে সেটা আরো নাকি উঁচু!
তুমি শালা অক্ষরজীবী! বোঝো নেতাগিরি! ধান্দাপানির কিছু?