অবতক খবর,১২ মে: আজ ব্যারাকপুর লোকসভায় দুটি দলের দুটি বড় বড় সভা সংগঠিত হয়ে গেল। প্রার্থী অর্জুন সিং এর হয়ে আজ জগদ্দলে ভোট প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের হয়ে আমডাঙায় প্রচার সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জন্য জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করলেন। আজ মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত ছিলেন সকল নেতৃত্বরা। কিন্তু সেখানে দেখা গেল না শুভ্রাংশু রায়কে। শুভ্রাংশু রায় বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক পাশাপাশি বর্তমানে নৈহাটি গ্রামীণ অঞ্চলের অবজারভার। তাঁকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন খোদ পার্থ ভৌমিক। নির্বাচনী প্রচার শুরু হতেই তিনি বেশ ভালই প্রচার করছিলেন গ্রামীণ অঞ্চল গুলিতে গিয়ে। শুভ্রাংশু রায়কে দেখে অনেক পুরনো কর্মীরা এবং তাঁর অনুগামীরাও বেশ উৎসাহ পেয়েছিলেন এবং তাঁর সাথে প্রচারেও সামিল হচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, পুরনো কর্মীদের সাথে নিয়ে পার্থ ভৌমিক যাতে জয়লাভ করতে পারেন সেই জন্য অনেক পরিকল্পনাও করেছেন। এক কথায় বলতে গেলে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছেন। তবে তাঁর যে সম্মান পাওয়া উচিত ছিল সেই সম্মান তিনি পেলেন না, এমনই বললেন তাঁর অনুগামীরা। তাঁর অনুগামীদের বক্তব্য যে, শুভ্রাংশু রায় এত কিছু করলেন তা সত্ত্বেও তাঁকে আজকের এই সভায় ডাকা হলো না। তবে কি কোথাও না কোথাও এখনো অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়ে গেছে? তবে কি তৃণমূলের এক গোষ্ঠী চাইছে যে শুভ্রাংশু রায়কে গুরুত্ব না দেওয়া হোক? কারণ শুভ্রাংশু রায় এত করেও যদি জায়গা মতো গুরুত্ব না পান তাহলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি? আজকের সভার পর এই সকল কথাই বলতে শুরু করেছেন তাঁর অনুগামীরা।

বীজপুরের বর্ষীয়ান নেতৃত্বরা বলছেন যে, শুভ্রাংশু রায়কে এইভাবে অবহেলা করাটা ঠিক হলো না। মঞ্চে অন্যান্য নেতৃত্বদের সাথে শুভ্রাংশু রায়ের স্থান পাওয়া উচিত ছিল। আজকের সভায় শুভ্রাংশুর দেখা না মেলায় অনেক নেতৃত্বরাই কার্যত অবাক।

তিনি না ছিলেন মঞ্চে আর না ছিলেন মঞ্চের নিচে। কোথায় হারিয়ে গেলেন শুভ্রাংশু রায়? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরই অনুগামীরা।

এ প্রসঙ্গে বিরোধী নেতারা বলছেন,পার্থ ভৌমিক শুভ্রাংশু রায়কে ললিপপ দিয়েছেন,আর শুভ্রাংশু সেই ললিপপ নিয়েই খুশি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না। এটা পরিষ্কার যে, শুভ্রাংশু রায়কে ব্যবহার করছেন পার্থ ভৌমিক। কারণ পার্থ ভৌমিক ভালোভাবেই জানেন যে,বীজপুরে সুবোধ-কমল থাকতে শুভ্রাংশু পাত্তা পাবে না। আর রইল কথা নৈহাটিতে ভোট প্রচারে যাওয়া,সবই আইওয়াশ,শুভ্রাংশুকে সেখানেও পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না।