অবতক খবর,২৫ মার্চঃ আব্বাস আলি পান্ডুয়ার দাবরা হাই মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছিলেন।পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য হন তিনি।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অয়ন শীলের নিয়োগ দূর্নীতি চক্রে যুক্ত থাকার।অভিযোগ করছেন পান্ডুয়ার গৃহবধু নাসিরা খাতুন।

নাসিরার অভিযোগ ২০১৫ সালে আব্বাস আলিকে তিনি পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিলেন স্কুলে চাকরির জন্য।তার মত আরো কয়েকজনও টাকা দেয়।টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন নাসিরা।বিকাশ ভবনে তাদের নিয়ে গিয়ে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়।নাসিরা বলেন,বিকাশ ভবনের পিছন দিকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।সেখান থেকে গাড়ি করে আট জন আটজন করে তুলে বিকাশ ভবনের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে একটা ডায়রিতে একজন নাম আর ফোন নম্বর লিখে নেন।ব্যাস ইন্টারভিউ হয়ে যায়।চাকরি না হওয়ায় আব্বাস আলির থেকে টাকা ফেরত চাইলে আব্বাস অয়ন শীলের নাম করে।অয়ন শীলের ফ্ল্যাটেও গিয়েছিলেন তারা।সেখানে অয়ন শীল তাদের একটি কাগজ বের করে দেখান।আর বলেন লিস্টে যাদের নাম নেই তাদের হবে না।

প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আব্বাসকে ধরেন নসিরা সহ আরো কয়েকজন।পুলিশেও জানানো হয় তাতে অবশ্য কিছু লাভ হয়নি।

আব্বাস আলি জানান,তিনি

অয়ন শীলকে চিনতেন পান্ডুয়া পঞ্চায়েত থেকে।পরে নিজে ওই পঞ্চায়েতে তৃনমূল সদস্য হন।২০২১ সালে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।সেই থেকে তার অনেক শত্রু।তিনি কারো থেকে টাকা নেননি।তবে দেবানন্দপুরের শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় টাকা তুলেছিলেন অয়নের হয়ে।সেটা তিনি জানতেন।শ্রীকুমার তাকে বলে ছিলেন।তার কাছে যারা এসেছিল সে সময় চাকরির বিষয়ে জানতে তাদের আমি বলেছিলাম শ্রীকুমার দা খুব ভালো মানুষ তাকে বিশ্বাস করা যায়।কিন্তু অয়ন শীলের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিলনা বলে দাবী আব্বাস আলির।