মোথাবাড়ি: লকডাউনে কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা। এদিকে ব্যবসার জন্য লক্ষাধিক টাকার ঋণ নিয়েছিলেন বিভিন্ন জনের কাছে। পাওনাদারদের চাপ বাড়ছিল ক্রমশ। পাওনাদারদের চাপ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস জড়িয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। দেড় লক্ষ টাকা ঋণ ছিল তাঁর বলে জানা গেছে।
এদিকে লাকডাউনে কাজকর্ম বন্ধ। ফলে পাওনাদারদের টাকা শোধ করতে পারছিলেন না। এদিকে পাওনাদারদের চাপ দিনকে দিন বাড়ছিল। মঙ্গলবার ভোরে তাঁর ঝুলন্তদেহ দেখেন পরিবারের লোকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মোথবাড়ি থানা এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুবোধ সাহা(৪৪)। সংশ্লিষ্ট থানার পঞ্চানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বানুটোলা গ্রামে বাড়ি তাঁর। স্ত্রী শিখা সাহা ও ৪ ছেলেমেয়ে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। ঝালমুড়ি বিক্রি করে চলত তাঁর সংসার। জানা গেছে মাস পাঁচেক আগে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নেন। দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসা করে ওই ঋণ পরিশোধ করবেন বলে ঠিক করেন তিনি। এদিকে পুরোদমে কাজও শুরু করেন তিনি।
এদিকে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন সুবোধ। এদিকে পাওনাদাররা বাড়িতে এসে চাপ দিতে থাকে। এমনকী শাসিয়েও যায় অনেকে। পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মাস ধরে আমরা খুব কষ্টে আছি। এদিকে কর্মহীন বলে স্বামীর হাতে কোনও পয়সাও নেই। পাওনাদাররা বাড়িতে এসে চাপ দিতে থাকে। ওই চাপ সহ্য করতে না পেরেই হয়ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।’