অবতক খবর,৬ মার্চ:  অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে পরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, এই পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের ভোটের ব্যাংক বলা হয়,মুসলমান সমাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটা অংশকে প্রলোভৃত করে টাকা দিয়ে পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুসলমান সমাজের মধ্যে ভুল, বিকৃত ব্যাখ্যা প্রচার করা হয়।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমরা দাবি করেছিলাম এই রমজান মাসে রেশন এর মাধ্যমে সুজি,চিনি খেজুর, ফল যেগুলি রোজা ভাঙতে লাগে সেগুলো নিয়ে কি ভাবা উচিত ছিল না ভাবলে কি এমন ক্ষতি হতো প্রশ্ন করলেন অধীর। তিনি বলেন, রোজা তো হিন্দু করেনা, একটা সমাজ এই রমজান করে, তাদের অভাব আছে, তাদের ভিতর অনেকে আছে যারা এই ইফতারের খরচ জোগাড় করতে পারেন না, সেই কারণেই আমরা দাবি করেছিলাম রমজান মাসে ঈদগাহে যাতে আলো দিয়ে সাজানো হয়।

আমরা এই কথাও বলেছিলাম রমজান মাসে ইমাম মোয়াজ্জেন যাদেরকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেহনত করতে হয়, তাদেরকে বোনাসের ব্যবস্থা করা হোক এরপরই তিনি সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান আমরা কি কোন অন্যায় দাবী করেছিলাম অধীর আরো বলেন আমরা যেসব দাবি গুলি সরকারের কাছে করেছিলাম তার মধ্যে একটিও ছিল যে রমজানে মধ্যে অনেক কর্মচারী তারা রোজা করেন। তাদেরকে ছুটিটা একটু আগে করে দেয়া হোক। কারণ নির্ধারিত সময়ে রোজা ভেঙে তাদের ইফতার করতে হয়। তিনি বলেন, আমরা কি দেখলাম এই সরকার তার কোন উত্তর দিল না, এই সরকার জানে মুসলমান আমার ভোটব্যাঙ্ক আছে, এই সরকার হিন্দু ভোট ব্যাংক পকেটে আনতে বেশি তৎপর। তাই দিঘাতে জগন্নাথ দেবের মন্দির হবে, মন্দির মসজিদ বানানোর দায়িত্ব কি সরকারের না সমাজের।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এই ধর্মীয় রাজনীতি আবহাওয়াটা এমন তৈরি হয়েছে একদিকে মুসলমানদেরকে মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত করে মোদির বিরুদ্ধে লড়ুয়ার নাটক করে তাদের অধিকার বঞ্চিত করে তাদেরকে ভোট ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে যে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২০০ ওয়াকফ সম্পত্তি আছে তার তালিকা প্রকাশ করে সেখান থেকে কত টাকা ইনকাম হয় সেটি আমরা জানতে চাই। তিনি বলেন, এইভাবে মুসলমান সমাজের কিছু সম্পত্তি আজ বেহাত হয়ে যাচ্ছে। আগামী দিন কেন্দ্রীয় সরকার আইনানচে এই ওয়াকফ সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে সরকারের হাতে নেয়ার চেষ্টা করছে ।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এই সরকারের উচিত বিধানসভায় আইন পাস করে দরকার পড়লে সুপ্রিম কোর্ট করে কেন্দ্রীয় সরকার যাতে ওয়াকফ সম্পত্তি না গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা, তিনি আরো বলেন, এই ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে ভারতবর্ষে পাঁচ কোটি মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে।

অধীর বলেন, তৃণমূল সরকার এর বিরুদ্ধে কেন হাইকোর্ট করছে না আমরা জানতে চাই। তাই তিনি আজকের এই সাংবাদিক বৈঠকে বলেন মুসলমানকে শুধু ভোট ব্যাংকে কাজে না লাগিয়ে তাদের সামাজিক মর্যাদা, অর্থনৈতিক মর্যাদা দেয়া দরকার।