আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। আমারও বেলা গড়িয়ে যায়। মনে পড়ে তাঁর জন্ম শতবর্ষে দেবানন্দপুর গিয়েছিলুম।

পথের দাবী
-তমাল সাহা

শ্রীকান্তকে লুকিয়ে রেখে
সূর্য অস্ত যায় গঙ্গা নদীর বাঁকে।
রাজলক্ষ্মী,রাইকমলরা এখনও
তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে।

পল্লীসমাজ-এ রমা ও রমেশের লড়াই
ভালবাসায় মেশে।
এমন জীবন শিল্পী,ভবঘুরে—
পাই নাই এই বৈচিত্র্যের দেশে।

লালুর পাঁঠাবলি-তে
বামুন হয়েও বামুনকে তুমি দিতে চাও বলি!
তোমার লেখায় সমাজ বিবর্তনে
উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আক্ষরিক বর্ণগুলি।

সমগ্র বিশ্ব সাহিত্যকে চমকে দেয়
গফুর জোলা ও মহেশ।
সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে কলম সোচ্চার
নেই কোনো ছদ্মবেশ।

চরিত্রহীন তুমি!
তুমি কেন এতো নারীদের কথা লেখো?
তাদের মধ্যে এমন কি রহস্য তুমি দেখো!
তোমাকে বুকে রেখে বইয়ের পৃষ্ঠা খোলা
কত নারীর ঘুম নিয়েছে কেড়ে দুপুরবেলা।

তুমি তো ভালোবাসার আগুন জ্বালো।
তুমি কি জানো,কত হাজার লক্ষ মেয়ে
দেবদাস-কে বেসেছে ভালো!

তুমি তো সেই যে সব্যসাচীকে তুলে আনো।
কার জন্য শৃঙ্খল কারাগার রচিত হয়
সে তো নিশ্চিত তুমিই জানো।

শেষ প্রশ্ন-এ যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছো তুমি
তার উত্তর আজও খুঁজে পায়নি তোমার জন্মভূমি।

আমি তো আজীবন আগলে রাখি বুকে
তোমার ক্ষয়াটে চেহারা বিশীর্ণ ছবি।
তুমি মানুষ আর মানুষ দেখো
আবার লেখো আরেকটি পথের দাবী।