অবতক খবর,২৪ জুন: নৈহাটিতে ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ মৃতের ভাগ্নীর। নৈহাটী পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাস্ত্রীপাড়া বেলতলার বাসিন্দা কাঠের ব্যবসায়ী শিবশংকর দে ওরফে প্রদীপের শুক্রবার মৃত্যু ঘটে। সে নাকি ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
যদিও পরিবারের লোকজন মানতে নারাজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবছর আগে পুত্র সমেত ডিভোর্সি এক মহিলাকে বিয়ে করে প্রদীপ। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। মৃত ব্যবসায়ীর দোকানের কর্মী বাবলু ঢালি বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে শিবশংকর বাবু দোকানে এসেছিলেন। বেলা পৌনে দশটা নাগাদ তার স্ত্রীর ফোন পেয়ে চলে যায়। ফোনে ত্রিশ হাজার টাকা চেয়েছিল স্ত্রী। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
বেলা পৌনে একটা নাগাদ মালিক ফোন করে আমাকে দোকান বন্ধ করে খেতে যেতে বলে। আমি যথারীতি বাড়ি যাই। এরপর পাঁচটা নাগাদ এসে দোকান খুলি। কিছুক্ষণের মধ্যে মালিকের বউ ফোন করে বলে তুমি এক্ষুনি এসো, তোমার দাদা আত্মহত্যা করেছে। আমি তৎখনাৎ বাড়িতে গিয়ে দেখি খাটের পাশে মেঝেতে শোয়া অবস্থায় রয়েছে মালিক। ঘরে আরও একজন মহিলাকে বসে থাকতে দেখি।
ঘটনা নিয়ে মৃতের ভাগ্নীর অভিযোগ, মামার গলায় কোনও চিহ্ন ছিলনা। মামাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। সন্দেহ মামীর এক বান্ধবীর দিকে,ও। প্রথমে নৈহাটি থানা মৃতের পরিবারের অভিযোগ নিতে না চাইলেও পরে মৃতদেহ আসার পর অভিযোগ নেওয়া হয়।