অবতক খবর,১ মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের জন্য দলের সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকা শোনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে আগামী ১০ই মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত হতে চলেছে ‘জনগর্জন সভার’।

এই সভার প্রচারের জন্য ১লা মার্চ আমডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হলো একটি দলীয় কর্মসূচি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিধায়ক সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী,জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম,বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী,আমডাঙার বিধায়ক রফিকুল রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। উক্ত সভায় ছিলেন তৃণমূলের চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিং।

কিন্তু এই সভাকে কেন্দ্র করে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে এলো তা হলো, নেতা যতই কর্মীদের সতর্ক করুক যে, অমুক নেতার সাথে থাকবে না,আমার লবি করবে…  ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু নেতা-নেতারা যে ঠিক থাকে এবং কর্মীরাই মরে,তা আজকের এই সভায় পরিস্কার। যেমন সাংসদের পাশে আজ উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিতর্কিত বিধায়করা। তবে সাধারণ কর্মীরাই এটা বুঝতে পারছেন না যে তাদের মধ্যে সবই সেটিং। গোষ্ঠী কলহ প্রকাশ্যে চলে আসলে নেতাদের কিছুই হয় না, তর্ক বিতর্ক করে কর্মীরা, মার খেয়ে মরে কর্মীরা। আমি অমুক নেতার কাছের লোক, আমি অমুক নেতার সাথে থাকি, অমুক নেতার হাত আমার মাথায় আছে, এই সব দেখাতে গিয়ে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে কর্মীরাই।

এখনো সময় আছে কর্মীদের সতর্ক হওয়া উচিত, নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে একজোট হওয়া উচিত। এদিনের এই সভা সবথেকে বড় উদাহরণ। আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে কর্মীদের আবারও সতর্ক করছি,কারণ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনে নিজেরা লড়াই করে মরবেন না। কারণ বিগত দিনেও দেখেছেন এবং এদিনও আপনারা দেখলেন যে নেতারা এক থাকে। এমন কোন কাজ করবেন না যাতে কাউকে ঘরছাড়া থাকতে হয় বা কারোর মায়ের কোল খালি হয়।

এদিনের এই ছবি প্রমাণ করছে যে সবই সেটিং। সাধারণ কর্মীরা, আপনারা আর কবে বুঝবেন?