অবতক খবর,১ এপ্রিল,বিরাটি : বিরাটির শরৎ কলোনীর নির্মীয়মাণ বহুতল আবাসনের একাংশ পাচিল ভেঙে মৃত্যু হওয়া গৃহবধূর বাড়িতে সোমবার দুপুরে আসলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায়। সমবেদনা জানান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থল ঘুরে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ তথা দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।

পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আর্থিকভাবে সাহায্য করারও আশ্বাস দেন সৌগত বাবু। সৌগত বাবু এদিন বিধাননগর কমিশনারেটের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বেআইনিভাবে নির্মাণ হওয়া বহুতল আবাসন গুলির দিকে নজরদারিরও নির্দেশ দেন তিনি। এই ঘটনায় দোষীদের যাতে সঠিক সাজা মেলে সে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানান প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। বলেন বহুতল একাংশ পাচিল ভেঙে পড়ে মারা গিয়েছেন এক নিপাট মহিলা। অপরাধীরা ছাড়া না পায় দেখবেন ফোনে জানান সৌগত বাবু বিধাননগর কমিশনার কে। সব ব্যবস্থা যতক্ষণ খতিয়ে না দেখা হচ্ছে বহুতল আবাসন নির্মানকার্য বন্ধ থাকবে।

উত্তর দমদম পৌরসভার অন্তর্গত বিরাটির শরৎ কলোনী এলাকার এই বহুতল ঘিরে আগেও নানাভাবে কাজ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল প্রতিবেশীদের তরফে। তবে কোনভাবেই কাজ বন্ধ করেনি প্রোমোটার। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। এদিন সাংসদ কে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকাবাসীরাও। বছর পঞ্চান্নর মৃত গৃহবধূ কেয়া শর্মা চৌধুরীর স্বামী ও বারংবার অভিযোগ জানান, সাংসদের কাছেও এদিন সেই কথাই তুলে ধরেন তিনি। এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ঐশ্বরিয়া গুপ্তা, আইসি সলিল কুমার মন্ডল সহ পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার, কার্যনির্বাহী আধিকারিক, স্থানীয় কাউন্সিলর মহুয়া শীল। গার্ডেনরিচের পর বিরাটির এই ঘটনা কতটা প্রশাসনকে সক্রিয় করে এখন সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।সাংসদ কে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন কেয়া শর্মা চৌধুরী র স্বামী, ছেলে সহ তার পরিবার।সাংসদ বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন,এবং প্রশাসনিক স্তরে যতটা সম্ভব এই আবাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। সাংসদ এদিন দেড় ঘণ্টা ছিলেন।