অবতক খবর :: উত্তর দিনাজপুর ::    নিজের স্ত্রীকে মোটা টাকার বিনিময়ে ভিন রাজ্যে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে কোনও রকমে পালিয়ে থানায় এসে হাজির স্ত্রী। পুলিশের সহযোগিতায় অবশেষে মঙ্গলবার বাবার হাত ধরে বাড়ি ফিরল ওই গৃহবধূ মহমুদা বেগম। বাড়ি চোপড়া থানার দক্ষিণ কুল হারা গ্রামে । পুলিশের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ওই গৃহবধূ।

অভিযোগে সে জানিয়েছে, তার স্বামী মহম্মদ আলম শিলিগুড়িতে আরেকটি বিয়ে করে। আর তারপর থেকেই তাকে শারীরিকভাবে গত আট থেকে নয় মাস ধরে নির্যাতন করে। তা সহ্য করতে না পেরে নিজেই ফেব্রুয়ারি মাসে সে তার কিছু জমানো টাকা নিয়ে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় । কিন্তু স্থানীয় রামগঞ্জ আসামাত্রই স্বামী সহ পরিবারের অন্যান্যরা তাকে সেখান থেকে অপহরণ করে ।নাকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে ওই গৃহবধূকে অজ্ঞান করে মোটা টাকার বিনিময়ে তার স্বামী কয়েকজনের হাতে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ। হরিয়ানা থানায় হাত বদল হয়ে চলে যায় ওই গৃহবধূ পাচারকারী দের হাতে। সঙ্গে গৃহবধূর দেড় বছরের কন্যা সন্তানও ছিল। কিন্তু এরপর সে একদিন পাচারকারী দের আস্তানা থেকে সুযোগ পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে জিন্দ থানায় এসে উপস্থিত হয় এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বলে পুলিশকে। পুলিশের সহযোগিতায় এবং তার বাবা সেখানে পৌঁছে তাকে নিয়ে আসেন মঙ্গলবার চোপড়ার।

ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মাক্কার জানান ,ওই গৃহবধূকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ । তারা তদন্ত শুরু করেছেন । এলাকার বাসিন্দা শাহীন আক্তার জানান, ওই গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল দিনের পর দিন। বাপের বাড়ি চলে যাবার সময় সেই ঘটনাটা ঘটে । তাকে বেহুশ করে ট্রেনে করে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা এবং ট্রেনে জ্ঞান ফিরলেও তাকে সেখানে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় ।