আজ মহান বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের জন্মদিন। তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে এই লেখা

নিউটনেষু
তমাল সাহা

নিউটন সাহেব বাগানে বসে
গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখে
মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন–
বস্তু নিচে পড়ে কেন,
তার উত্তর খুঁজে পেয়েছিলেন।

নিউটন সাহেব আপনাকে প্রশ্ন–
হাভাতে-ঊনপাঁজুরে মানুষ তো আপেল খায় না, বুনো ফলমূল খেয়ে বাঁচে।
সেই বুনোফল পড়তে দেখলে কী আপনি এই সূত্রটি আবিষ্কার করতে পারতেন?

আমরা উত্তর-পূর্ব গোলার্ধের এই দেশে–
ঘামেভেজা কালো মানুষ
সেই কবে থেকে পৃথিবীর আকর্ষণে
মাটি কামড়ে পড়ে আছি,
কিন্তু আমাদের মাড়িয়ে যারা ক্রমে ক্রমে উপরে, আরো উপরে উঠে যাচ্ছে–
সেটা কোন সূত্রে,
সেই নিয়মটা আপনি জানিয়ে গেলেন না,
এটাই বড় আফশোষ!

আপনার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে।
বলবিদ্যার তিনটি সূত্র বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও মানুষের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য কিনা তা আপনি খুলে বলে যাননি।

প্রথম সূত্রে, বাহির হইতে প্রযুক্ত বল দ্বারাই গতিশীল বস্তুকে স্থির করা যায় এবং স্থির বস্তুকে সচল করা যায় সত্যি হলেও
ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য কিনা, যথার্থ কিনা তা আপনার সূত্রের পাদটীকায় উল্লেখ নেই।

দ্বিতীয় সূত্রে, বল যে দিকে প্রযুক্ত হয় ভরবেগের বিষয়টি এবং বল ও ভরবেগের সমানুপাতিক সম্পর্কটি জানা গেলেও প্রয়োগ করা খুবই কঠিন বলে মনে হয়।

আর তৃতীয় সূত্রটি—
ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া– দক্ষিণ মহাসাগরের তীরে এই উপমহাদেশের জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তাও আপনি বলে যাননি।

তবুও আপনাকে কেন বিশ্বের যুগান্তকারী বিজ্ঞানী বলা হয় কে জানে?