বহু জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জাতীয় কংগ্রেস দল পরিত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বড়ঞার প্রাক্তন বিধায়িকা প্রতিমা রজক। ২০১১ সাল থেকে ২১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বড়ঞা বিধানসভার জাতীয় কংগ্রেসের বিধায়িকা ছিলেন প্রতিমা রজক। যদিও ২০২১ সাল থেকে রাজনীতির ময়দানে তাকে আর দেখা যায়নি ফের আজ শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত তৃণমূলের সভায় ঘাসফুল চিহ্নের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন প্রতিমা রজক তার হাতে দলের পতাকা তুলে দেয়।
কান্দির বিধায়ক তথা বহরমপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব সরকার সহ বড়ঞা ব্লক দক্ষিণ চক্রের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ ও উত্তর চক্রের কনভেনার মাহে আলম। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অপূর্ব সরকার জানান গতকালকে মুখ্যমন্ত্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতিমা রযককে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানোর জন্য এবং তাদের সেই নির্দেশ মতোই আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই যোগদান সম্পূর্ণ হয় তবে এদিনের এই যোগদান সভায় দেখা যায়নি বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে এমনকি দেখা যায়নি বড়ঞা বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও উল্লেখ্য মাস খানেক থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার এই বড়ঞা বিধানসভাটি নিয়ে তৃণমূলের অন্তরে চলছিল গোষ্ঠী মন্ডল কে ফোটাবে বড়ঞায় ঘাসফুল একদিকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার ও তার নেতৃত্ব অপরদিকে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ও বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এই দুই গোষ্ঠীর যে মেটাতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ বলতে শোনা যায় বড়ঞা বিধানসভার নির্বাচনী সমস্ত দিক দেখবেন অনুব্রত মণ্ডল কার্যত মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে এই বিধানসভাটি হলেও এই জেলার নেতৃত্বদের উপর কী তাহলে ভরসা হারাচ্ছে উচ্চপদস্থ নেতৃত্বরা এই প্রশ্ন যখন উঠেছিল তারই মাঝে দেখা গেল বড়ঞার দুই দুবার এর এই প্রাক্তন বিধায়িকাকে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করাতে এখন প্রশ্ন তবে কি বড়ঞা বিধানসভায় আর নির্বাচনে টিকিট পাবে না জীবন কৃষ্ণ সাহা এবার কি তাহহলে প্রতিমার রজক পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট এই প্রশ্নের জল ঘোলা হয়েছে বড়ঞার রাজনৈতিক মহলে।