অবতক খবর,১৯ মেঃ বিজেপির বনগাঁ উত্তর মন্ডল ২ এর পক্ষ থেকে গোপালনগর বাজারে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পথ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ও বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস যুক্ত বলে জোড়া আক্রমণ সানান বিজেপির দুই বিধায়ক। বিধায়ক স্বপন মজুমদার বিশ্বজিৎ দাসের নাম না করে বলেন, গোপালনগরের ভূমিপুত্র তৃণমূলের বড় নেতা গরু পাচারের টাকা খেয়েছে। তৃণমূলের অনেক বড় বড় নেতারা জেলে গিয়েছেন এখানকার নেতারও জেলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। দুর্নীতি ইস্যুতে আগামী দিনে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে সিবিআই যাবে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়কের তহবিলের টাকা খরচ করতে দিচ্ছে না এখানকার তৃণমূলের বড় নেতা। এর পরেই তার হুশিয়ারি ওই বড় নেতার অনেক কেচ্ছা আছে। আগামী দিনে বিজেপির চার বিধায়ক মিলে তাকে ল্যাংটো করে ছাড়বেন।
একই সঙ্গে বিধায়ক স্বপন মজুমদার দাবি করেন, গোপালনগর এলাকার একটি মন্দিরের গরু চুরি হয়েছে। আর এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে।
নাম না করে বিশ্বজিৎ দাস এর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযুক্ত তোলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। তার হুঁশিয়ারি আগামী দিনে তাকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বেন।
তবে পাগলের মতন বকছে বলে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, বিশ্বজিৎ দাস জেলা সভাপতি হওয়ার পরে বনগায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে বিজেপি ভয় পেয়ে এইসব বলছে।