অবতক খবর,২৬ সেপ্টেম্বর: নাম না করে জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানকে দুর্নীতির ইস্যুতে বিধলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় তিনি নানুরের বাসাপাড়ার থুপসারা অঞ্চলের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন আমি পঞ্চায়েতের পার্সেন্টেজ খেতে আসিনি, বালি ঘাটের টাকা নিতেও আসিনি তাই আমার সঙ্গে পাঙ্গা লড়তে এসো না। যেদিন গোটাবো সব গুটিয়ে দেবো। আমি বহু ঘাটের জল খেয়েছি আমার পেটে বহু ঘাটের জল আছে ওই ঘটনায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস মিলেছে।
কাজল শেখের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী কেরিম খানের বিরোধ দীর্ঘদিনের।
অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার আগে দলে অনুব্রত বিরোধী কাজল শেখ কোণঠাসা ছিলেন। অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর চিত্রটা একেবারেই আলাদা। তখন কেরিম খান সহ অনুব্রত অনুগামীরা দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন।তারা অনুব্রত মণ্ডলের ফেরার অপেক্ষায় দিন গুণ ছিলেন,কেরিম খান গত একমাস ধরে দিল্লিতে পড়েছিলেন মঙ্গলবার অনুব্রতর মতোই সন্ধ্যায় তিনিও বাড়ি ফেরেন।
নানুরের বাসাপাড়া বাজারে তাকে ঘিরে তার অনুগামীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন আবির খেলার মিষ্টি মুখের পাশাপাশি মিছিলও হয়। সেই আবহে কাজলের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
কারণ তিনি বক্তব্যে বলেছেন আমি কারোও জমি দখল করতে আসিনি অন্যায় ভাবে জমি অন্যায় ভাবে দখল করা জমি ফিরিয়ে দিতে এসেছি নাম না করলেও ওই বক্তব্য যে কেরিম খানকে ঘিরেই তা মনে করছেন দলের একাংশ কারণ কেরিমের বিরুদ্ধে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কে সামনে রেখে মিলন মেলার নামে বেশ কিছু জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
যদিও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান এ ব্যাপারে অবশ্য কোন মন্তব্য করতে চাননি। এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানান- ব্যাপারটি শুনেছি, এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করবো না।
এনিয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে ছাড়েননি বিরোধীরা, বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসী চরণ মণ্ডল জানান- অনুব্রত মণ্ডল জেলায় আশার পরিপ্রেক্ষিতে এই বক্তব্য টা ওনার অন্যরকম, বিজেপির ব্যাপারটা উদ্দেশ্য করে বলছে কিনা জানিনা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আসার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বক্তব্য যদিও বিজেপির কোন যায় আসে না