নবারুণ শব্দটাই একটি আশাবাদী উচ্চারণ
নবারুণের প্রতি
তমাল সাহা
১) গেরিলা ফাইট
শালা! হারামি!
ইতরামির জায়গা পাওনা
দেশ দিচ্ছ বেচে?
আরে, আমরাও আছি খচে।
গেরিলা ফাইট হবেই
আমরা আছি বেঁচে–
সঙ্গে আছে ডিনামাইট, গ্রেনেড
আর গ্যেভারা চে।
২) কমিউনিস্ট
হতেই হবে কমিউনিস্ট।
দশ দিন কেন
দশ হাজার,দশ লক্ষ দিন তারা লড়বে–
এটাই মোদ্দা কথা
যতক্ষণ না লাল হচ্ছে সেই দিগন্ত ইস্ট।
যুদ্ধ চলবেই
ঊর্ধ্বে তোলো পেশীবহুল রিস্ট।
৩) মন্ত্রীদের মৃত আত্মা
মৃত আত্মাদের সঙ্গে কথা বলতো
হারবার্ট সরকার।
রবীন্দ্রনাথ-নেহেরুর সঙ্গেও
কথা বলেছিল সে।
খবর পাঠিয়েছে
এখন শুধু কথা বলবে রাষ্ট্রনেতাদের সাথে,
পারলৌকিক ভৌতিকে নিভৃতে।
জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে বলেছে
খুন হয়ে যাওয়া মন্ত্রীদের আত্মার
তার নাকি খুবই দ্রুত দরকার!
৪) পেটের পণ্য
খোঁয়াড়ের জন্য লড়াই কতদূর যায়? সবই মিডিয়া থেকে জানা যায়।
পেটের জন্য মানুষ কী না করে
দেহ বেচে গ্রামে নগরে বন্দরে।
জানার তো শেষ নেই, বেশি জানলে কী ক্ষতি?
পেটের রুটির জন্য এখন অন্য পদ্ধতি।
বোমা-বারুদের:দোকান খুলে ফেলে ময়দানে
একের পর এক ছুড়ে মার রাষ্ট্রপতি ভবনে।
৫) মুখোশ
পণ্য নেতা নেত্রীদের মুখ নেই, সবই মুখোশ
তাকিয়ে দেখি, একটাও মানুষ নয়
কেউবা রাক্ষসী কেউবা রাক্ষস!
আর কত দিন উপবাসে থাকবি করবি রোজা
আস্তিন থেকে ছুরি বার করে চালিয়ে দে সোজা।
৬) গোল্লা
গণতন্ত্র গোল্লা
কোমরে পিস্তল
মানুষ মারার গ্যাঁড়াকল
শাসক নেতা বসির মোল্লা
তাহলে তোকেও তো আয়োজন করতে হবে
কিভাবে দিবি তোল্লা!
৭) যজ্ঞ
খরতপ্ত গ্রীষ্ম
দেখো এইসব দৃশ্য!
তুমি কি এখনো অজ্ঞ?
জানোনা বোঝোনা
ভোট মানেই নরমেধ যজ্ঞ!
ক্যালানে বোঝোনা কিছুই
তাহলে রাইফেল ফ্যাক্টরির কোন দরকার?
মানুষ মরবে, মরবে না সরকার!
৮) বাংলা লিখছে
ব-য়ে
বাংলা লিখছে
বোমা বন্দুক বাঁশ।
ভ-য়ে ভোটে ভয়
ম-য়ে মায়ের আর্তনাদ
মৃত্যুর ইতিহাস!
তাহলে এই জীবন নিয়ে কি করবে তুমি
হাহুতাশ,ফেলবে দীর্ঘশ্বাস!
সূর্য সেনকে কি কথা দিয়েছিলে তুমি
তার প্রতি রাখবে না বিশ্বাস?
৯) নিহত আমি
যেখানে লড়াই
যেখানে গুলিবিদ্ধ বোমায় বিধ্বস্ত
সেখানেই নিহত আমি।
আমাকে ছাড়া কাউকে খুঁজে পায় না
সময় এতো হারামি!