কোনো প্রখ্যাত লেখক- লেখিকা প্রয়াত হলে প্রধান মন্ত্রী থেকে মায় আপনি পর্যন্ত,তাকে চিনুন বা না জানুন, এইভাবে টুইট করতে পারেন, ‘ উনি একজন বিখ্যাত পুরুয/ মহিলা সাহিত্যিক ছিলেন।উনি গল্প,কবিতা সব লেখায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল– একটা শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তাঁর পরিবারের প্রতি রইলো আমার সমবেদনা।’

নবনীতা দেবসেন ও শূন্যতা
তমাল সাহা

এই এক কথা!
উনি প্রয়াত হয়েছেন শূন্যতার সৃষ্টি হলো
যিনি বলছেন তিনি মারা গেলেও শূন্যতার সৃষ্টি হবে
আর এই বিশ্বে শূন্যতা বলে কিছু নেই।
এসব কথার কথা।

ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পরেও শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল।
আপাততঃ মোদিজি সেই শূন্যতা পূরণ করেছেন।
ভালো করেছেন কী মন্দ করেছেন
তার দায় কেউ নিচ্ছে না।

যারা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে— বলে চলেছেন তারা একই কথা চর্বিত চর্বণ করে চলেছেন।

কবি সাহিত্যিক মারা গেলেও শূন্যতার সৃষ্টি হয়।
তবে পরে আর সেই শূন্যতার কথা কেউ বলে না।
অনেকে বলেন বাংলা সাহিত্যের অপরিমেয় ক্ষতি হয়ে গেলো।
অনেকে তার লেখা পড়ে এই কথা বলেন,
অনেকে না পড়েও বলেন।

এই শূন্যতা বা অপরিমেয় ক্ষতি এই দুইটি শব্দবন্ধ বড় ক্লিশে হয়ে গিয়েছে এবং কমন হয়ে গিয়েছে।
এমন কথা উঠলো নবনীতা দেবসেন-এর মৃত্যু প্রসঙ্গে।

তাঁর বাড়ির নাম ‘ভালো-বাসা’।
অনেকে বলেছেন– ভালোবাসার বারান্দায় আর কেউ দাঁড়াবে না।
না দাঁড়ালে ফাঁকা থাকবে! নবনীতা হয়তো দাঁড়াবে না,
তার প্রজন্মরা হয়তো এসে দাঁড়াবে।
আর তারা না দাঁড়ালে হাওয়া বাতাস খেলে বেড়াবে।
ভাববে,হায়! নবনীতা একদিন এইখানে ছিল!
নয়তো ভালোবাসার বারান্দা লেখাটা থমকে যাবে!

আর নবনীতার কথা ক’দিন ভাববে?
কারণ মৃত্যুর দিনই হইচই
পরদিন তো তাকে মানুষ ভুলে যাবে।