অবতক খবর,৯ ডিসেম্বর: গ্রাম এ জন্যই কি অবহেলিত? তবে কি দুর্ঘটনার অপেক্ষা করছে প্রশাসন? প্রশ্ন? আরো একাধিক প্রশ্ন করছে ধুপগুড়ির গধেয়ার কুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুর্শামারী, বেতগাঁড়া সহ আরো কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। একেই নড়বড়ে দুর্বল সেতু। একসাথে পিকআপ ভ্যান এবং পথচারীরাও যেতে পারে না। একসাথে গেলে সেতু নড়তে শুরু করে। যেকোনো মুহূর্তে সেতু ভেঙে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। আর এই দুর্ঘটনার ভয় বুকে নিয়ে ধূপগুড়ির দইখাওয়া নদীর সেতু পারা পার করতে হয় ধূপগুড়ির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। অথচ প্রশাসনের আধিকারিকরা যে জানেন না তা নয়।

নির্বাচনের পূর্বে একাধিক নেতা প্রশাসনীয় কর্মীরা বারবার দই খাওয়া নদীর সেতু পরিদর্শন করেছেন,দিয়ে গেছেন সংস্কারের আশ্বাসও। তারপরেও কেন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি- এই প্রশ্ন এলাকাবাসীদের । জানা গেছে ধুপগুড়ির বগরিতলা থেকে কুর্শামারী রাস্তায় দইখাওয়া নদীর উপর এই দুর্বল সেতুটি অবস্থিত। বর্তমানে সেতুর দুই দিকের পিলারগুলোর অবস্থা শোচনীয়। ভারী জান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। পিকআপ সহ ছোট গাড়ি চলাচল করলেই সেতু দূলতে থাকে। ‌ বাধ্য হয়ে পিকআপ যাত্রীদের এপারে নেমে ওপারে ফের উঠতে হয়। ওপারে রয়েছে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। গ্রামের মূল আয় বলতে কৃষিকাজ। সেতুটি দুর্বল থাকায় কৃষি কাজেও পিছিয়ে পড়ছে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজারের মতো বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ, সেতু দুর্বল থাকায় ভারি যান এই দিকে আসতে পারে না।

ফলে অতিরিক্ত ভাড়া চুকিয়ে ছোট গাড়িতে কৃষিজাত দ্রব্য দই খাওয়া সেতুর ওপার নিয়ে গিয়ে বড় গাড়িতে তুলতে হয়। আর এই দই খাওয়া নদীর দুর্বলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশাসনিক ব্যক্তিরা। তারপরেও কেন নিশ্চুপ থেকেছেন?এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে এলাকাবাসীদের মনে। যেকোনো মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় থাকবে প্রশাসনের বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ‌ তেমনি স্থানীয়রা খুব দ্রুত সেতু সংস্কার না হলে বড়সড়ো আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন। ‌এলাকার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য তথা স্থানীয় ধজেন্দ্রনাথ রায় বলেন, জলঢাকা নদীর তীরে অবস্থিত এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে একটি রেলের সেতু এবং রেললাইন। ‌

তাই যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটলে সেতু দুর্বল থাকার কারণে জরুরী পরিষেবা থেকেও এই এলাকা বঞ্চিত থাকবে। ‌ তবে খুব দ্রুত সেতু সংস্কারে আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মদক্ষ নুরজাহান বেগম বলেন, প্রপোজাল নবান্নে পাঠানো রয়েছে আশা করা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি এই সেতুটি সংস্কার হবে। কিন্তু এখন একটাই প্রশ্ন এলাকাবাসীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে? গ্রামের একটি উন্নয়নমূলক কাজে কেন দৃষ্টি পড়ছে না প্রশাসনের?