এখন রাত ১০টা ৪২। শেষ রাতলেখা। আজ একটু অন্যরকম লিখি।

ধুলোবালি
তমাল সাহা

এক)
শনাক্তকরণ

মিত্ররা পাশে থাকে
শত্রুরা থাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
আড়ালে আবডালে।

ফলে শত্রুমিত্র শনাক্তকরণে
আমার কোনো অসুবিধে হয় না।
তবে শত্রুমিত্র জোড় শব্দটি যত ভালো শোনায়
মিত্রশত্রু বললে ততটা লাগসই মনে হয় না।

মনে পড়ে মায়ের কথা,
শত্রুকে আগে স্থান দিতে হয়
পরে ভেবো,জয় বা পরাজয়।

দুই)
নারীতন্ত্র

প্রৌঢ় রোদ লেগেছে শরীরে
এতোদিন কাউকে বলিনি
কবিতা পুংলিঙ্গ বা স্ত্রীলিঙ্গ
এখনো জানতে পারিনি।

পুংলিঙ্গ হলে কি হবে জানিনা
তবে কবিতা নারী—
এ ছাড়া অন্য কিছু
আমি ভাবতে রাজি না।

তিন)
পা

একটি পুজোয় শুধু
ঘর উঠোন জুড়ে পিটুলি গোলা দিয়ে
আঁকা হয় সারি সারি পা।

সেও কোনো নারীর পা…

কোনো পুজোয় আমি
পুরুষের পা আঁকতে দেখিনি।

পুরুষকে কি বাইরেই মানায়!
লক্ষ্মীছাড়া! যা তুই চরে খা।

চার)
দিক

বামপন্থী হলেও
সব কবি বা লেখকের ইচ্ছে
তার রচনা ছাপা হোক ডানদিকের পৃষ্ঠায়
বা ডানদিক থেকেই শুরু হোক তার লেখা।

সূর্য ওঠে, সূর্য অস্ত যায়—
কোন দিক ভালোমন্দ
বুঝিনা আমি, এ এক ধোঁকা।

পাঁচ)
খেলা

আসি আর যাই,
না যাই আর আসি—
এখনো বলতে পারেনি
দুনিয়ার বড় বড় পড়শি।

তবে একবার হলেও
কেউ না উচ্চারণ করে পারেনি
একটি শব্দ
রে পৃথিবী! তোকে আমি ‘ভালোবাসি’।