অবতক খবর,৯ জুন: দেবতার নামে ভন্ডামীর অভিযোগ! বড়সড় প্রতারণাচক্র হাতেনাতে ধরল শনিবার স্থানীয়রা। ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের ৫নম্বর ইছলাবাদের কিরণ সংঘ এলাকার। অভিযোগ এলাকারই এক মহিলা তিনি কৃষ্ণ কালীর সাধক নামে পরিচিতি দিতেন। কৃষ্ণ কালীর উপাসনার নামে বিভিন্ন উপায়ে বহু টাকা উপার্জন করতেন। বহুদূরান্ত থেকে আসতেন সাধারণ মানুষজন। তার নাকি আছে একটা ইউটিউব চ্যানেলও।

অভিযুক্ত সাধিকার নাম মঙ্গলা কোৱা। অভিযুক্ত সাধীকার ভন্ডামি অবশেষে সামনে আনলো স্থানীয় এলাকার মানুষজন। ভন্ডামি হাতেনাতে ধরতেই উত্তেজিত হয়ে জনতা মন্দির থেকে ছুড়ে ফেলে মন্দিরে থাকা দান সামগ্ৰী কাপড় গামছা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বর্ধমান থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে বর্ধমান থানার পুলিশ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যিনি নিজেকে কৃষ্ণ কালীর সাধিকা বলছেন, তিনি নিজে কোন একটি চিট ফান্ড সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে সেই সংস্থা থেকে তাড়িয়ে দিলে অভিযুক্ত মঙ্গলা কোৱা দেবতার নামে ভন্ডামি শুরু করেন। অভিযুক্ত মহিলার স্বামী একজন ফুচকা বিক্রেতা বলেও দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়দের আরো অভিযোগ, ওই মহিলা বলতেন শ্রী রামকৃষ্ণ নাকি মাকে পাননি, তিনি কৃষ্ণ কালীকে পেয়েছেন। চিটিং বাজি করে বহু মানুষকে প্রতারণা করে বহু জমি জায়গার মালিকও হয়েছেন অভিযুক্ত কালি সাধিকা।

অবশেষে ফাস হলো কালী সাধিকার ভন্ড গিরি, অভিযুক্ত মঙ্গলা কোরার চিটিং কীর্তি।অন্যদিকে কৃষ্ণ কালী মা নামে পরিচিত সাধিকা মঙ্গলা কোরার বলেন, আমি কোনদিনই বলিনি যে আমি ঠাকুর পেয়েছি।

এখানে কোন রকম টাকা পয়সা নেওয়া হয়না আমার কাছে প্রচুর ভক্ত আসেন তারা যা দেন তাতেই আমি খুশি। যারা ফল পেয়েছেন তারা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাকে দিয়েছেন। মায়ের বিশ্বাসী ভক্তরা এখানে আসেন।