অবতক খবর,২৮ ফেব্রুয়ারী,মালদা:- ১১ মাস আগে তিনি রেশনের তালিকায় মৃত। কিন্তু ১১ মাস পর রেশনের দাবিতেই ২০০ কিলোমিটার দূর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ির এলাকায় ব্লক দপ্তরে হাজির তালিকায় মৃত ঘোষিত গৃহবধূ। ঠিক যেন অদ্ভুতুড়ে কান্ড। যেমন অনেক সময় দেখা যায় ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তি ভোট দিয়েছে এই বাংলায়। কিন্তু এখানে ভুতুড়ে ভোটার নয়।তিনি প্রকৃতই জীবিত। শুধু মৃত রেশনের তালিকায়।
তাই এগারো মাস ধরে বন্ধ রেশন। বিরোধীদের অভিযোগ এই বাংলায় বাংলাদেশিরা এসে ভুয়ো রেশন কার্ড বের করে রেশন পায়।কিন্তু যারা প্রকৃত প্রাপক। তাদের মৃত দেখানো হয়। কিন্তু আসলে বিষয় টা কি? মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রাঙ্গাইপুর গ্রামের বাসিন্দা আকতারা খাতুন। প্রায় দুই বছর আগে নদীয়া জেলার করিমপুরের বাসিন্দা সালাম মন্ডল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিবাহ হয়।পরবর্তীতে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে রেশন কার্ডের বদলের জন্য তিনি ব্লক দপ্তরে আসেন। সেখান থেকে বলা হয় বদল করে ধরা হয়েছে।
কিন্তু করিমপুরে রেশন কার্ড করতে গিয়ে তাকে জানানো হয় রেশন তালিকায় তার নাম মৃত বলে এসেছে। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় রেশন। এদিকে দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবার। সরকারের দেওয়া রেশন যাদের কাছে অন্ন যোগানের অন্যতম মাধ্যম। এমন একটি পরিবারে গৃহ বধূর রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়তে হয়েছে।এদিন পুনরায় হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক দপ্তরে আসেন তারা।
এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটলো? কতটা গাফিলতি আধিকারিকদের? খোদ তৃণমূলের বুথ সভাপতি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আধিকারিকদের শাস্তির দাবি করেছেন। ওই গৃহবধুর স্বামীর অভিযোগ আমরা পড়াশোনা জানিনা বলে আমাদের এই ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। বিজেপির কটাক্ষ যে রাজ্যে বাংলাদেশের রেশন কার্ড পায়। সেই রাজ্যের মানুষ এই ভাবেই বঞ্চিত হবে। যদিও তৃণমূলের দাবি কোন সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবে না। যেটা ভুল হয়েছে সেটা দ্রুত ঠিক করতে হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।