অবতক খবর,২৫ ডিসেম্বর:: জঙ্গি সংগঠনে আত্মঘাতী স্কোয়াড গড়তে পরিযায়ী শ্রমিকদের টার্গেট করেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন গুলি। দুবাই থেকে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হবে এই লোভ দেখিয়ে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এরপর মগজ ধোলাই করে তাদের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য করা হয়েছে।কেরল থেকে ধৃত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারউল্লা বাংলার’ সদস্য। নাম মহম্মদ শাদ ওরফে সাব শেখ।
ধৃত মোঃ শাদকে জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা।এই শাদের সূত্র ধরেই হরিহরপাড়া থেকে একই জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে অসম এসটিএফ। যে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুবাই থেকে পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে গোয়েন্দারা। এদের মালদা মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন আস্তানায় রাখা হয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে।
এদিকে,স্থানীয় সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া বিধানসভা এলাকার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে সাবেরের। সেখানে খিদিরপুর অঞ্চলে কেদারতলা গ্রামে প্রায় ১০ বছর ধরে থাকত বাংলাদেশের বাসিন্দা সাব। কাকার বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিল সে। পরে রুটি রুজি চালাতে নওদা থানার পিঁপড়েখালি এলাকায় ইসলামি পোশাকের ব্যবসাও শুরু করেছিল সে। সেই ব্যবসা তেমন ভাবে না চলায় পরে ছাগলের ফার্ম খোলে। কিন্তু সেই ব্যবসাও চলেনি। পরে কেরলে পাড়ি দেয় সে।
ততদিনে এখানে ভোটার তালিকায় নাম উঠিয়ে ফেলেছিল সে।যদিও কাপড়ের দোকান বা ছাগলের ফার্ম খোলার বিষয়টি অস্বীকার করছেন পিসির পরিবারের লোকজন।
তাঁদের দাবি, ছাগলের ফার্ম খুলেছিল পিসতুতো এক ভাই। পরে সে ফার্ম উঠে গিয়েছে। এখন সেখানে সরষে চাষ করা হয়।
এমনকি সাদ শেখের পিসির বাড়ির লোকজনের দাবি, সে ধর্ম ভীরু মানুষ ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পাঠ করতেন। গ্রামের মানুষদের হাদিস থেকে জ্ঞান দিতেন।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে এ রাজ্যে ঢুকেছিল মহম্মদ সাব রাদি। সেই সময়ে তার সঙ্গে একাধিক বার দেখা করেছিল মিনারুল ও আব্বাস।
সে ভারতে ঢোকার পরে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, জলঙ্গি এবং আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় একাধিক বৈঠক করেছে জঙ্গিদের স্লিপার সেল।সম্প্রতি কেরল থেকে জঙ্গি সন্দেহে সাব গ্রেফতারের পরেই সহযোগী হিসেবে হরিহরপাড়া থেকে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে অসম এস টি এফ। ধৃতদের জেরা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য জানতে পাচ্ছে গোয়েন্দারা। আর সেখান থেকেই তথ্য উঠে এসেছে জঙ্গি সদস্য তৈরি করতে দুবাইয়ের পরিযায়ী শ্রমিকদের টার্গেট করেছিল ধৃতরা। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকাংশের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায়।