অবতক খবর,১৬ মার্চ, মালদা:- করোনা কাল থেকেই বন্ধ ছিল মালদার মহদিপুর এলাকার ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্তে যাতায়াতের ব্যবস্থা। ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট নতুন করে চালু করা নিয়েও তৈরি হয়েছিল নানান জটিলতা । যারফলে পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকলেও মহদিপুর সীমান্ত পেরিয়ে দুই পারের মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াত করতে পারছিলেন না। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পণ্যবাহী লরি যাতায়াত করলেও, পাসপোর্ট ও ভিসা পদ্ধতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মালদার এই ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। অবশেষে দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে ভারত সরকারের নির্দেশে মালদার মহদিপুর আন্তর্জাতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুলে দেওয়া হলো।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটা করে এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুলে দেওয়ার পর দুই বাংলার মানুষ এদেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াত শুরু করেন। এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট নতুন করে খুলে দেওয়ার কর্মসূচিতে এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার মনোজ কুমার, অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী, মহদিপুর এক্সপোটাস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ সহ বিশিষ্টজনেরা। যদিও দীর্ঘদিন পর যাতায়াতের সুবিধা চালু হাওয়ায় দুই বাংলার মানুষ একে অপরকে এদিনের এই কর্মসূচির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোণা সংক্রমণ এবং মহামারীর আগে মালদার মহদিপুর এলাকার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কয়েক’শ নাগরিকেরা এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াত করতেন । এই মহদিপুরে ছিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট । সেখানেই পাসপোর্ট ভিসার সরলীকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে তদারকি করার পরেই দুই দেশের মানুষ অনায়াসেই যাতায়াত করতে পারতেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ভারতে আসেন চিকিৎসা করার জন্য। বহু ব্যবসায়ীরাও বাণিজ্যক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু করোনা মহামারী শুরু হতেই কেন্দ্র সরকারের নির্দেশেই মালদার মহদিপুরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ হয়ে যায়। আর তারপর থেকে নতুন করে এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খোলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানান জটিলতা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়িক মহল থেকেও এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু করার ব্যাপারেও রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে নানাভাবেও অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অবশেষে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে নতুন করে চালু হলো ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট।