নারীরা চাঁদকে ভালোবাসে কবিরাও চাঁদকে খুবই ভালোবাসে। নারী-পুরুষ চাঁদ বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন প্রতীকে ভালোবাসা হয়ে উঠে আসে

শোনো,
জন্মেছিল আজ কাস্তের কবি দীনেশ দাস।
শ্রমিষ্ঠ মানুষকে ভালোবাসতো খুবই।
দেখতো চাঁদ উঠছে আকাশে আস্তে আস্তে
কবি দেখছে চাঁদ হয়ে যাচ্ছে শস্যজীবীর হাতে ধরা কাস্তে!

বেনয়ট হোক না যত ধারালো
তার শব্দের শান ছিল তার চেয়ে জোরালো।

দীনেশ দাসের উদ্দেশে লেখা কটি পংক্তিমালা
তমাল সাহা

১) চাঁদের কাস্তে

কত কবি আসে
কত কবি যায়…
কত কবি আধুনিক
চিত্রকল্প উপমায়!

এ কবি ফালি চাঁদে
খুঁজে পায় কাস্তে।
আশ্চর্য বীক্ষণ তার
কে না দেখেছে
চাঁদকে নীলে ভাসতে?

শেষ পর্যন্ত জনতার রায়
এ কবি
“কাস্তের কবি’ হয়ে যায়!

কজন পায় এমন
জন-শিরোপা?
কত কবিই তো
রাষ্ট্র-প্রতিষ্ঠান রফা!

২) কাস্তের কবি

কত কি আশ্চর্য দেখি
এক কবিতাতেই কিস্তিমাত
পুলিশের মুখোমুখি।

ধারালো বেয়নেটর চেয়ে
কাস্তের শান জোরালো
তুমি অক্ষরে মাটির মুখে
ফেলো আলো।

এ যুগের বাঁকা চাঁদ
আসলে কাস্তে
মাটির সঙ্গে সম্পর্ক তার
শান দিও বাঁচতে।

এ কবি দেখেছিল ‘ডাস্টবিন’
কুকুরে মানুষে লড়াই।
এ কবির নাম হয়ে গেল
কাস্তের কবি
কে না জানে? সবাই।