অবতক খবর,১১ মার্চ: দিদি নাম্বার ওয়ান সন্দেশখালীর মহিলারা, চুঁচুড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে বললেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
গতকাল ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনে ৪২ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। হুগলি লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা একটি জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ান এর সঞ্চালক রচনা ব্যানার্জিকে। ইতিমধ্যেই তার নামে শুরু হয়েছে দেওয়ার লেখা শুরু করে দিয়েছে কর্মীরা। যদিও গতবারের জয়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপরেই ভরসা রেখেছে বিজেপি। তাই এবারে এই হুগলি লোকসভা কেন্দ্র সকলেরই নজর কারা।
একসঙ্গে সিনেমা করেছেন দুই অভিনেত্রী এবার রাজনীতির ময়দানে লড়তে চলেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। রচনা রাজনীতিতে কিছুটা নতুন হলেও লকেট চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনীতির ময়দানে তৃণমূল পাত্রে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন রাজনীতি আর সিনেমা দুটো আলাদা বিষয়। এখানে কোন দিদি নাম্বার ওয়ান এর লড়াই নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এটা আমার বা রচনা ব্যানার্জীর লড়াই নয়। আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি আমাদের লড়াইয়ের ময়দানে সামনে রাখা হয়েছে। আমি মোদিজীর সৈনিক হিসেবে রয়েছি। যেভাবে রাজ্যের শাসক দল দুর্নীতি করেছে সন্দেশখালীর মত তাতে কোনোভাবেই ধামা চাপা দেওয়া যাবে না। তাই আসল দিদি নাম্বার ওয়ান হচ্ছে সন্দেশকালের মহিলারা। যারা রিয়েল লড়াই করেছে কোন টিভি ক্যামেরা ছাড়া। তারা দিনের পর দিন না খেয়ে লড়াই করে গেছে। সেখানে কোন অভিনয় ছিল না সেটাই হচ্ছে আসল দিদি নাম্বার ওয়ান। এই লড়াই কোন কঠিন নয় কারণ মোদীজি অনেক। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা হয়ে মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। গণতন্ত্রের যে কেউ লড়াই করতে পারে। তবে শেষ বিচার করবে মানুষের।
এখন দেখার ভোটের ফল ঘোষণার পর দিদি বনাম দিদির লড়াইয়ে দিদি নাম্বার ওয়ান কে হন।