বিস্ফোরক সময়
বারুদ পোরা সব ডানপিটেদের বুক
তুমি আমার হাতে তুলে দিয়েছিলে ইংরেজিতে লেখা মাওয়ের একটি ছোট্ট রেডবুক।
কী করে ভুলি আমি সেসব আর তোমার নাম
এতদিন কী লিখেছি, এখনো কী লিখি কী জানি তোমাকে সেলাম।
তোমাকে খোলা চিঠি
তমাল সাহা
তুমি কি জানো
এখনো মন্টুরা বেঁচে আছে!
নির্ঝর স্বপ্নভঙ্গ চোখে ঘুম থেকে ওঠে–
বেকারের চিঠি পড়ে থাকে।
দেশ বিক্রি হয়ে গেছে কোন্ ফাঁকে!
এবার প্যাঁদাবো হারামি ওসি-কে—
খিস্তি মেরে বলেছিলে,শালা!
প্যাঁদাবে কি করে?
ওসি-তো এখন শাসক দলের চ্যালা।
সেসব দিন চলে গেছে কোন্ খেয়ালে
‘বন্দুকের নলই রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস’
কেউ লেখে না আর ভুসোকালিতে দেয়ালে।
‘গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরো’
সেসব ডানপিটেরা কোথায়?
দলবাজির কার্ফু এখন ঢুকে গেছে
যুবকদের মাথায়।
বিপ্লব মগজ থেকে উড়ে গেছে
এখন সাইনবোর্ডে লেনিন মাও চে।
শুধু দিন কাটাও তত্ত্ব-ভাষণ-বুকনি বেচে।
এনকাউন্টারে—
কত লাশ পড়েছিল বরানগর বেলেঘাটা
কাশীপুর কোন্নগরে!
এখন বিপ্লবীরা খণ্ড-খণ্ড অনন্ত
জনগণ বিভ্রান্ত, দিগভ্রান্ত—
আসল কাজ ছেড়ে
এ ওর আদর্শহীনতা খুঁজে ফেরে।
ধর্ষিতা মেয়েটি পড়ে আছে সেই কবে থেকে
দেখেছিলে তুমি উৎকণ্ঠ শর্বরী।
রাজনীতির ছন্দ মাত্রা ঠিক রেখে
স্করপিও গাড়ি
কবিবর চলে যান শাসকের বাড়ি।
পান্ধীনগরে আবার রাত্রি নামে
তাতে কার কি আসে যায়!
ধর্মের গেরুয়া স্রোতে
রামধুন গাইতে গাইতে জীবন চলে যায়।
পাউন্ড পাউন্ড পাউরুটি পিস করেও
মন্টুর হাতে ছিল একখানা ধারালো ছুরি।
জীবন আমাদের গিয়াছে কোথায়—
হায়! শুধু জোচ্চুরি।
ছবিঃ
তখন উত্তাল সময়ঃ সেই তুমি এবং এই আমি