অবতক খবর,১ জুলাই: এদিন ছিল জাতীয় চিকিৎসক দিবস। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ডাক্তার, স্বাধীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম-মৃত্যুদিন। সেই দিনটিকে স্মরণ এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে শিশুদের ফল এবং দুগ্ধ বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয় মহিলা তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে। সেই মত তৃণমূল দলের মহিলা নেত্রীরা শিশুদের ফলমূল বিতরণ করছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা নেত্রী কেয়া ঘোষাল,শম্পা শীল, পূর্বতন উপ পৌরপ্রধান মাখন সিনহা, তৃণমূল দলের টাউন সভাপতি খোকন তালুকদার, তৃণমূল নেতা দীলিপ ঘোষ।

স্বাভাবিকভাবেই সেখানে প্রচুর ভিড় হয়েছিল। বীজপুর পুলিশ পেট্রোলিং-এ যাচ্ছিলেন, সেই অবস্থা দেখে সেখানে আই সি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ দাঁড়িয়ে পড়েন এবং দেখেন যে, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-এর বিধিনিষেধ, রীতিনীতির মান্যতা নেই। ফলত তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং নেতা-নেত্রীদের প্রকাশ্যে গালিগালাজ এবং প্রকাশ্যে তিরস্কার করেন বলে তৃণমূল মহিলা দলের নেত্রীরা জানান।

মহিলা নেত্রীরা জানান, যদিও শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই ভিড় করেছিল এবং তারা এই ফল ও দুগ্ধ গ্রহণে অত্যন্ত অধীর অপেক্ষায় আগ্ৰহ করছিল। ফলত,একটু হুড়োহুড়ি এবং ভিড় স্বাভাবিক। তারা মনে করেন পুলিশের উচিত ছিল গালিগালাজ না করে পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং নিয়ন্ত্রণের জন্য ওখানে দাঁড়িয়ে পুলিশেরও তো ভূমিকা ছিল। কারণ করোনা বিধি নিয়ন্ত্রণের একটা দায়িত্ব রয়েছে থানা প্রশাসনেরও। তারা সেই দায়িত্ব পালন না করে কেন এভাবে মহিলা নেত্রী এবং নেতাদের গালিগালাজ করলেন তারা বুঝতে পারছেন না। তৃণমূল দলের সুপ্রিমো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই বন্টনের প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ তো জানে এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ।সেই নির্দেশের মান্যতা দিয়ে পুলিশ যদি এই বণ্টনের সাহায্য করত বা পাশে দাঁড়াতো, সেটাই তো শোভন হত। গালিগালাজ দেওয়াটা কি পুলিশের শোভনীয় কাজ? এই প্রশ্ন তারা তুলে দিয়েছেন।