অবতক খবর,৯ জুন: শুটিং করতে গিয়ে শুক্রবার সন্ধেয় নিউটাউন সাপুরজি এলাকার একটি রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার নিউটাউনের ওই ঘটনায় তুমুল অশান্তি ছড়ায়।

মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে সোহম দাবি করেছিলেন, বচসা চলাকালীন হোটেল মালিক তাঁর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটূক্তি করেন। এতেই রেগে যান তিনি।

যদিও রেস্তোরাঁ মালিক অভিযোগ করেছিলেন, কোনও কথা না শুনেই সোহম তাঁকে প্রথমে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন। মারধরও করা হয়। এমনকী কলার চেপে ধরে রেস্তোরাঁ তুলে দেওয়ার হুঁশিয়াারিও দেন তিনি বলে অভিযোগ।
এরই মাঝে শনিবার সকাল থেকে মারধরের ওই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিও-র সত্যতা অবশ্য অবতাক খবর যাচাই করেনি।

প্রকাশিত রেস্তোরাঁর ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে-বচসা চলাকালীন ধাক্কা দিয়ে রেস্তোরাঁ মালিককে মাটিতে ফেলে দেন অভিনেতা ও তৃণমূল বিধায়ক সোহম। লাথিও মারা হয় তাকে । কলার ধরে টেনে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রেস্তোরাঁর বাইরেও।

ওই সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহল থেকে সোহমের গুন্ডাগিরি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে। অনেকের দাবি রেস্তোরাঁ মালিক যদি কোনও ভুল করেও থাকে, সেক্ষেত্রেও একজন বিধায়ক হিসেবে হাতে আইন তুলে নেওয়ার অধিকার কি তার আছে ? এ ব্যাপারে সোহমের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমানসে তীব্র শোরগোল তৈরি হয়েছে।

সোহমের এহেন গুন্ডাগিরি বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না শাসকদলের নেতারাও। তাঁরা মনে করছেন, ঘটনা যাই ঘটে থাকুক না কেন, এভাবে মারধর করে হাতে আইন তুলে নেওয়া উচিত হয়নি সোহমের।