অবতক খবর,১৭ মার্চ: তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের হাতে প্রহৃত হওয়া বিজেপি কর্মীকে দেখতে বালুরঘাট থেকে ছুটে এলেন বালুরঘাটের সাংসদ পদপ্রার্থী ড. সুকান্ত মজুমদার। তিনি শনিবার রাত দশটা নাগাদ গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পা রাখেন। কথা বলেন আহত বিজেপি কর্মী জয়দীপ দাসের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, জয়দীপ দাসের পরিবারের অভিযোগ- ভারতীয় জনতা পার্টি করার অপরাধে নির্মমভাবে প্রহার করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বিজেপি কর্মী। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। খোঁজ নেন দলীয় কর্মীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে।ঘটনায় উভয় পক্ষের তরফে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে আহত ব্যক্তির নাম জয়দ্বীপ দাস (৪০) বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ৩/২ বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটন দাসপাড়া এলাকায়।পেশায় গাড়িচালক।

স্থানীয় সূত্রে খবর গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাটন ১৮৫ নম্বর বুথে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আক্রান্ত জয়দ্বীপ দাসের ভাই বউ মিতালি দাস।সেই থেকেই এলাকার তৃণমূল কর্মী তরুণ পাল সহ অন্যান্যদের সাথে ঝামেলা লেগে থাকত বলে অভিযোগ। এদিন অক্ষত ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে তরুণ পাল সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।এ নিয়ে বিজেপি কর্মী জয়দ্বীপ দাস প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ঘটনায় মাথায় চোট পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। তিনি দলীয় কর্মীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এদিন গঙ্গারামপুর থানার আইসি-র বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মুখ খোলেন বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

তবে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর রাজ্যের কোথাও যে অশান্তি করা যাবে না, তা সবক’টি রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদেরই সমঝে চলতে হবে। অন্যথায় সারা দেশ জুড়ে নির্বাচন কমিশন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।