অবতক খবর,১৪ সেপ্টেম্বর,বড়ঞাঃবৃষ্টি ভেজা দিনরাত ।থাকার জন্য একটা ঘর আছে তো প্রকান্ড ফুটো জল কেবলমাত্র রাস্তায় জমেছে তাই নয় দুয়ার থেকে একুটি মাত্র ঘর সেটা ভরে গেছে থৈ থৈ জলে। আকাশের মুখ ভার। মন খারাপ অসহায় মর্জিনার।
এমন পরিবার আছে বর্তমান সময়ে দেখলে চোখে জল এসে যায় । তিন সন্তানকে নিয়ে চোখে মুখে একদিকে যেমম খিদের জ্বালা অন্যদিকে থাকার জায়গা জলে ভর্তি। বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে জলের হাবুডুবু। তিন সন্তানকে নিয়ে ঘরের এক কোণে জলের মধ্যে বুকে আগলে ধরে রেখেছে মা মর্জিনা খাতুন। ঘটনাটি। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা অন্তর্গত কুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে কুমরাই গ্রামে। দারিদ্রোর কারণে কাজ না পেয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কজা করেন স্বামী মিলন সেখ। কজের সুত্রে বাইরে থাকেন স্বামী । কিন্তু ছেলেমেয়েকে সমস্যায় পড়েছেন মর্জিনা।
সংবাদ মাধ্যমকে মর্জিনা খতুন জানায় ” আমি অনেক বার, মেম্বার প্রধানকে জানিয়েছি,আমি গরিব মানুষ একটা ঘরের জন্য কিন্তু দেয়নি , একটাই ছোটো ঘর ঘরের মধ্যে বৃষ্টি এলে জলে ঘর ভরে যায় থাকা-খাওয়া জলের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে করতে হয়। স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করে। তাতে ঠিকমতো সংসারী চলে না। প্রতিবেশী গ্রামের মানুষরা। তার বাচ্চাদের খাবার দাবার দিয়ে সাহায্য করে। তবে সে অভিযোগ করে সরকারিভাবে সে কোন সুযোগ-সুবিধা পায় না। ”
হতাশা দুশ্চিন্তায় মর্জিনা খাতুন সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
যদিও বিষয়ে কুলি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জেসমিন আহম্মেদ বলেন ” পরিবারের অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। আমরা ইতিমধ্যেই একটা ত্রিপল দিয়েছি। আগে ঘরের ব্যবস্থা করা হয়নি তবে এবারে যাতে একটি আবাস যোজনার ঘর দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করব।”