অবতক খবর,১৭ মে: তিন মাসের মধ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু হলো নব দম্পতির শোকাহত হয়ে মা, ছেলে বৌমার দেহ নিতে মর্গের সামনে , বিয়ের তিন মাসের মধ্যে শেষ হলো প্রাণ কিন্তু কি করে ঘটল ?এই ঘটনা জানব বিস্তারিত…..

জানা যায় মাত্র তিন মাস হয়েছিল এই নবদম্পতির বিয়ের, এরই মধ্যে বিদ্যুতের বিপাকে পড়ে প্রাণ ত্যাগ করতে হলো এই নব দম্পতিকে ।
স্থানীয় সূত্রের খবর এই নয়া দম্পতি হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা নয়ন রায় ও প্রিয়াংকা রায় ।
প্রকাশে এসেছে এই দিন অনেকেই মাঠে কাজ করছিলেন এরপরে ঘটে সে বিপর্যস্ত জনক ঘটনা দুপুর হতেই আকাশ কালো করে শুরু হয় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি।
তার সাথে বিদ্যুতের ঝলকানি বৃষ্টি থেকে বাঁচতে গাছ তলায় আশ্রয় নেন সবাই আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ হলো তিন মাসের বিবাহ সম্পন্ন নয়া দম্পতির জীবন।

এখনো বাড়িতে জ্বলজ্বল করছে শুভ বিবাহের লেখাটি
অনেক আশা করে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন খুবই শান্তিতে কাটছিল ছেলে বউয়ের জীবন জানালেন বজ্র আঘাতে মৃত ছেলের মা চুনিয়া রায় ‌।কিন্তু এত সুখ বোধ হয় তাদের কপালে লেখা ছিল না। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজেদের জমিতে ফসল চাষ করতে গিয়েছিলেন ছেলে বৌমা।
হঠাৎ করে আকাশে কালো মেঘ বানিয়ে আসে।
কিন্তু সেই মেঘ যে মৃত্যু হয়ে নেমে আসবে তা হয়তো তারা আন্দাজ করতে পারেননি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় প্রবল দুর্যোগ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গর্জন। আর বজরা আঘাতে কেড়ে নেয় নয় নয়ন ও প্রিয়াঙ্কা সমেত বহু মানুষের প্রাণ। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে স্থানীয় দুজন তাদের মাঠে পড়ে থাকতে দেখে। চুনিয়া রায়কে গিয়ে খবর দেয় । এরপর,

তড়িঘড়ি করে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্বামী স্ত্রীকে সেখানে নিতে বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

এরপরে সেই মর্মান্তিক ঘটনা সম্মুখীন হতে হয় সন্তান হারা সেই মা-কে তিনি জানান আশা করেছিলেন ছেলে বৌমাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকবেন।
কিন্তু একটি দুর্ঘটনা তার সেই সুখ স্বপ্ন সবটাকেই ভেঙে চুরমার করে দিল। তাদের দেহ নিতে আসতে হবে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এই ভয়ংকর সত্যিটা যেন তিনি কিছুতেই মেনে নিতে চাইছিলেন না।

কত ফাল্গুনে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নয় ও প্রিয়াংকার মালদা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ছেলে ও বইয়ের মৃতদেহের সামনে ভেঙে পড়লেন চুনিয়া রায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর এই নয়া দম্পতির সাথে যারা প্রাণ ত্যাগ করেছেন বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের মধ্যে তিনজন মালদা সাহাপুরের বাসিন্দা আর দুজনের বাড়ি গাজলের আদিনা এবং রতুয়ার বালপুর এলাকায়। ‌ মৃতদের মধ্যে রয়েছে মানিকচকের বাসিন্দা আর ও ১১ বছরের বয়সী দুইজন নাবালক। অসিত সাহা এবং রাজমিদা নামে দশম ও একাদশ শ্রেণীর দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে এই বিপর্যয়ে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৯ দম্পতি বাসীন ধারণা ও প্রিয়াঙ্কা রায় বাজ পড়ে প্রাণ হারিয়েছে এরা দুজনেই।