অবতক খবর,৩ জুন: শেষ হল প্রায় ৭৭দিনের লড়াই ।পাখির চোখ এখন ৪জুলাই ।অপেক্ষা আর মাত্র কিছু ঘন্টা।

আর তারপরেই শুরু হতে চলেছে হার জিতের খেলা।নামের পাশে বিধায়ক শব্দবন্দনী বসে
কি না সেই বিষয়ে চিন্তিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ ।

তিনি সংবাদ জানান ,অভিনেত্রী থেকে রাজনীতির অভিষেকটা হয়েছিল বছর তিনেক আগেই ।বিধানসভা নির্বাচনের বাঁকুড়া কেন্দ্রে
তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ।যদিও বা প্রথম বার ব্যার্থ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছিল তাকে ।তবে দমে যাননি তিনি ।
মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন বাঁকুড়াতেই ।লোকসভার ভোটে টিকিট না পেয়ে অভিমানের সুর সোনা গেয়ে ছিল অভিনেত্রীর কণ্ঠে ।সেই ক্ষোভ
প্রশমিত করতে তাকে বরাহ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন প্রার্থী করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব ।এরপর নায়া ,খায়া ছেড়ে পরে থাকেন বরাহনগরে ।

সূত্রের খবর ,গত তিন মাস ধরে বাড়ি ছাড়া সায়ন্তিকা ।বরাহনগরে বাড়িভাড়া করে থাকছেন তিনি ।রাজ্যে তাপের প্রবাহে যখন মানুষ নাজেহাল
তখন তিনি,কখনও পায়ে হেঁটে ,কখনও জিপ চালিয়ে বরাহনগরের অলিগলি ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি ।তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালেও লড়াইটা সহজ ছিলনা না তার ।২০১১ সাল থেকে টানা পর পর বরাহনগরের বিধায়ক ছিলেন তাপস রায় ।সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বরাহনগরের বরাহনগরের যুদ্ধের অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন সজল ঘোষের হাতে ।আর সেই জায়গাতেই লড়াই ।
এই বিষয়ে তাপস রায়কে নিশানা করে সায়ন্তিকা বলেন”আমি কোনও প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখছি না ।আসলে বরাহনগর শক্তি ঘাঁটি তৃণমূল অতীতে আমাদের দলের রেকর্ড ছিল তার থেকে ভালো ফল করতে হবে বললেন সায়ন্তিকা ।

ইতি মধ্যেই সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে।আর ভোট মিটতে না মিটতেই ফলঘোষণা ।মাঝে দুটো দিনের ব্যবধান ।
তাই কোনোরকম বিশ্রাম নেই তৃণমূল প্রার্থী।সায়ন্তিকা জানালেন কাজের মধ্যে আছেন তিনি ,আগামীকাল প্রায় তিন মাস পর তিনি নিজের ফিরলেন ,অভিনেত্রী বলেন সব জগন্নাথের ভরসায় ।কোনও নেতিবাচক কথা শুনতে তিনি রাজি নন ।আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করতে চাই
বললেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।