গাজা রণাঙ্গনে আছি।
আজ পঞ্চম দিন পঞ্চম দিন ১১ অক্টোবর ২০২৩।

তাঁবুর সামিয়ানার নিচে মর্গ
তমাল সাহা

নাম ডাকওয়ালা বিশাল হাসপাতাল আর শিফা থেকে বেরিয়ে আসছে
বোমা বিধ্বস্ত নিহতদের দেহ।
একের পর এক দেহ! রাখা হবে কোথায়?

হাসপাতাল চত্বরে টাঙানো হয়েছে তাঁবুর বিশাল সামিয়ানা। এটাই এখন মর্গ।

মৃতদেহগুলি দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে পারলে কম জায়গা লাগতো। শুইয়ে রাখতে হচ্ছে বলে স্থানের সংকুলান হচ্ছে না।
অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য
ওমর খৈয়াম এসে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি তাঁবু বানাতে জানতেন।
তাঁবুর উপযোগিতা বিষয়ে তিনি বোধ করি এ দিকটি ভাবতে পারেননি।
যুদ্ধ বিষয়ে তার দুই একটি লাইনও আমার বেশরম চোখ দেখতে পায়নি।

মৃত্যুর মিছিল শব্দটির বিকল্প অভিধানে খুঁজে পাওয়া গেল না।

সিভিল ডিফেন্স বাহিনী একের পর এক ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছে।
অনেক দেহ চাপা পড়ে আছে। একেই বলে চাপা পড়া মানুষ।
বেঁচে আছে! এখনো বেঁচে আছে! চিৎকার করে উঠল উদ্ধারকারী একজন।
তখনো দেহের বেশিভাগ অংশ চাঙরের নিচে।
মুখটা বেরুতেই আব্দুল মুসলে কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমি খেলনা বিক্রি করি, মিসাইল বিক্রি করি না।

খাদ্য-বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।
যুদ্ধের খাদ্য ও বিস্ফোরণের আলোর বিপুল যোগান আছে।

নিকেশ শব্দটি সাদা ফসফরাসের ঘ্রাণ মেখে বাতাসে বাধাহীন ভাবে খেলছে…