অবতক খবর,শক্তিপুর, ২২ শে জুলাইঃ বিশ্বায়নের হাত ধরে কৃষি ও কৃষকের সমস্যা যেমন আরও সংকটে, তেমনি পান চাষেও সেই সংকট বেড়েছে। শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহেও মাঠ, ঘাট , খাল ,বিল শুকনো। এখনো কাঠ ফাটা রোদ। মুর্শিদাবাদে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। জেলার পান চাষীরা চাতক পাখির মত তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে।

রাজ্যে ৩৪১ টি ব্লকের মধ্যে ১২৩ টি ব্লকে পান চাষ করা হয়। মুর্শিদাবাদে ২৬ টি ব্লকের মধ্যে হয় আটটি ব্লকে। এর মধ্যে চাষ হয়েছে বেলডাঙ্গা,-২ ব্লকে প্রায় ৫০০ একর, এ এম জে ব্লকে ৩০ একর, নওদায়১৫০ একর, দৌলতাবাদে ১০০ একর। এছাড়া ডোমকল , জঙ্গিপুর, হরিহরপাড়া ,জলঙ্গি, বহরমপুরের বেশ কিছু অংশে পান চাষ হয়েছে।এবার জেলায় মোট পান চাষ হয়েছে ৮৫০ একর জমিতে। দীর্ঘদিন জল না পাওয়ার ফলে পানের বরজের যে ব্যাপক ক্ষতি হবে তা জানালেন বেলডাঙার নারকেল বাড়ি গ্রামের পান চাষী মহির উদ্দিন শেখ, হারাধন দত্ত, শশাঙ্ক শেখর পাল, শক্তিপুর এর চাষী মারফত শেখ, মজিবুর শেখ ও দূর্যোধন দত্তরা।

মুর্শিদাবাদ জেলা পান চাষী সমিতির সম্পাদক মোঃ তাজারুল হক জানালেন, সমিতির উদ্যোগে২০২০ সালে ত্রি মোহিনী হাই মাদ্রাসায় ১৩০ জন পান চাষী একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করে। সেখানে প্রশিক্ষণ দেন অধ্যাপক ও কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ শান্তনু ঝাঁ। সমিতির উদ্যোগে ২০১০-১১ সালে একটি আলোচনা সভায় আলোচক হিসাবে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ডক্টর সিদ্ধার্থ দত্ত।

পান থেকে পানীয় তৈরি ও ভেষজ ওষুধ তৈরি বিষয়ে সেখানে আলোচনা করা হয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

সমিতির সম্পাদক বলেন, পান চাষীদের সংকট নিরসনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়ই উদাসীন। তাই আগামী দিনে আমাদের সংগ্রাম আরো তীব্র হবে।