অবতক খবর,৪ অক্টোবর,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমানঃঢাকে পড়েছে কাঠি। পূজোর আর মাত্র ১৫দিন বাকি। বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হচ্ছে দূর্গোৎসব। সেই মতো প্রায় সব জাইগাতেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে। বেশিরভাগ জায়গাতেই নানান ধরনের নজর কাড়া থিমের মধ্যে দিয়ে রিতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে পুজো কমিটি গুলি। অন্যদিকে কোথায় কী থিম, তা জানতে উৎসাহী আম জনতাও। কারণ ইতিমধ্যে অনেকেরই শুরু হয়ে গিয়েছে মন্ডপ থেকে প্রতিমা থেকে তৈরির কাজ। মন্তেশ্বরের রায় বাড়িতে হাজির আমরা। আজ

মন্তেশ্বর রায় বাড়ীর শতাব্দী প্রাচীন দুর্গা প্রতিমার চলছে তুলির টান । রায়বাড়ির দুর্গা প্রতিমার তৈরীর মৃৎশিল্পী তপন দে ও অশোক কর্মকাররা জানান এই টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দুর্গা প্রতিমার গায়ের রং লাগাতে দারুন অসুবিধা হচ্ছে। কারণ এই রং শুকুতে কয়েক ঘন্টা সময় বেশি লেগে যাচ্ছে তাও আবার বিদ্যুতের পাখা দিয়ে দুর্গা প্রতিমার লাগানো রং শুকুতে হচ্ছে। এতে যেমনি বেশী সময় লাগছে, লেবার ও বেশি লাগছে, খরচ ও বেশি হচ্ছে। তাতে আমরা মৃৎশিল্পীরা সংকটের মধ্যে আছি। কারণ এই প্রতিমা তৈরির কাজ আমাদের একমাত্র সম্বল এর মাধ্যমে আমাদের সংসার চলে, প্রতিমা তৈরীর রং, তুলি, সাজ, সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের যাহা দাম বেড়েছে তাতে আমাদের লাভের পরিমাণ খুবই কম। তার উপর কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি এতে প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ করতে একধারে যেমন দেরি হচ্ছে , অন্য ধারের লেবারও বেশি লাগছে, তাই আমরা খুবই সংকটের মধ্যে পড়েছি।
মৃৎশিল্পীরা আরো জানান এবছর তারা ৩০ টি দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ পেয়েছে। একটা দুর্গার প্রতিমা তৈরি করতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তাতে এই বৃষ্টি আমাদের অনেকটা অসুবিধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমরা মৃৎশিল্পী হিসাবে ছোটবেলা থেকে ৪৫ থেকে ৫০ বছর ধরে কাজ করে চলছি।
সরকারের কাছে বহুবার আবেদন করেও আমরা শিল্পীর কোন স্বীকৃতি,ও কোন সাহায্য পাই নাই।
তাই সরকার বাহাদুরের কাছে আবেদন আমাদের মৃৎশিল্পী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে ভাথার ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা খুব উপকৃত হব ।