ডুব
তমাল সাহা
মণিপুরের কাংরা উপত্যকায় ঝাঝরা গুলিবিদ্ধ মনোরমা
দিল্লির বাসের ভিতর নির্ভয়া, কামদুনির জলাভূমির পাশে নীলিমা,
হাথরাসের বাজরার খেতে মনীষা পড়ে আছে।
তিনজনের নিম্নপ্রদেশের গহ্বরে ঢুকে গেল ধর্ষকেরা।
তারা দেখল সীমাহীন জন্মস্থান। প্রচুর জায়গা এখনো ফাঁকা এবং তার গভীরতা অপরিসীম।
তারা সেই নিঃসীম অন্ধকারে
ঢুকিয়ে নিল পরপর গণতন্ত্রের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ স্তম্ভকে। তারপরও অসীম শূন্যতা।
এবার তারা টেনে আনল সমগ্র ভারতবর্ষকে। ভারতবর্ষ পুরো ঢুকে যেতে লাগলো অতল অন্ধকার গর্ভে।
বাতাসে আর্তনাদ শোনা গেল, বাঁচাও! বাঁচাও!
রাষ্ট্র বলে উঠল, বেটি বাঁচাও! বেটি বাঁচাও!
রাজনৈতিক নেতারা স্লোগান তুলল, দেশ বাঁচাও! দেশ বাঁচাও!
মেডিকেল টিম গঠন করা হল।ডাক্তার, সার্জেনরা প্রাণপণ চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিলেন।
দমকল ডাকা হল। বিশাল মোটা দড়ি-কাছি এনেও দমকল বাহিনী ব্যর্থ হল।
এরপর ডুবুরি নামিয়েও ভারতবর্ষকে উদ্ধার করা গেল না।
ততক্ষণে ভারতবর্ষ অতলে তলিয়ে গেছে।
চারদিক থেকে পড়তে লাগলো দীর্ঘশ্বাস…
কদিন পরে দেখা গেল দক্ষিণ মহাসাগরের নীল জলে ভেসে উঠৈছ ভারতবর্ষের লাশ।