অবতক খবর,১ অক্টোবর: দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি তৃণমূলের। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী আগেই জানিয়েছিলেন ১ লাখ লোক নিয়ে যাওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দিল্লি যাওয়ার জন্য বুক করা ট্রেন বাতিল হয়েছে বলে দলের তরফে দাবি করা হয়। তবে এবার রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের দাবি আগে ট্রেন বাতিল করেছিল। এবার একটা ফ্লাইটও বাতিল করল। এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন।

ডেরেক ও ব্রায়েন লিখেছেন, প্রথমে ওরা কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য স্পেশাল ট্রেন বাতিল করেছিল।যারা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন ২রা অক্টোবর ও ৩রা অক্টোবরের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তাদের আটকাতে স্পেশাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১০০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। সেটা আদায়ের দাবি তুলতেই দিল্লি যাওয়ার কর্মসূচি। তবে এবার একটা বিমানও বাতিল করা হল। যত খুশি চেষ্টা করে যান। আমরা আপনাকে দেখাবই।

এদিকে তৃণমূলের এই নালিশ প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, বেসরকারি বিমান বাতিল হবে কি হবে না সেটা তো সংশ্লিষ্ট সংস্থার ব্যাপার। তার সঙ্গে সরকারের কী সম্পর্ক!

এই ট্রেন বাতিল নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জী। তিনি জানিয়েছিলেন, ২ তারিখ আমরা চেয়েছিলাম বাংলা থেকে এক লক্ষ লোক নিয়ে যাব। তাদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য চারদিনের জন্য রামলীলা ময়দান চেয়েছিলাম। গতকাল রাতে একটা ট্রেন ঠিক করা ছিল। কিন্তু সেটা বাতিল করা হয়েছে। টাকা আপনাকে দিতেই হবে। আপনি যদি ভাবেন ইডিকে দিয়ে চিঠি দিয়ে লড়াইকে ভাঙবেন… বাংলার প্রত্যেক বাড়িতে যারা ভার্চুয়াল সাইটে আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, মনকে দৃঢ় রাখুন। অভিষেক বলেন, এটা আপনার পৈতৃক সম্পত্তি নাকি!

১০০দিনের কাজের দুর্নীতি হয়েছে,বলছেন কে বারণ করেছে ব্যবস্থা নিতে। ২ হাজার, ২০০জনের জন্য কেন এতজনের টাকা আটকে রাখবেন? জানিয়েছেন অভিষেক।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ট্রেন বাতিল করেও শান্তি হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযানকে এতটাই ভয় পাচ্ছে যে এবার প্লেন বাতিল করাতে শুরু করেছে। একটা প্লেন বাতিল হয়েছে। যাতে প্রায় শতাধিক তৃণমূল নেতাদের যাওয়ার কথা ছিল। আচমকা এই বিমান বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু, নির্দিষ্ট দিনেই আমাদের কর্মসূচি হবে।” পাল্টা খোঁচা দিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের মালিকেরা তাজ কোম্পানির চাটার্ড ফ্লাইটে যাতায়াত করেন। তাঁরা হচ্ছে ভারতবর্ষের তৃতীয় ধনী রাজনৈতিক দল। এই মুহূর্তে অন্তত আটশো কোটি টাকা তাঁদের পার্টি ফান্ডে জমা হয়ে আছে। তাই চাটার্ড প্লেনে কেন কর্মীদেন নিয়ে যাবে না? আমার তো মনে হয় ২০টা চাটার্ড প্লেন ভাড়া করে যাতায়াত আরও সুবিধা হতো। বড় বড় প্রাইভেট জেট ভাড়া করলে একসঙ্গে আড়াইশো তিনশো জন চলে যেত।”