অবতক খবর,২৩ জানুয়ারি: ট্রাম্পের দ্বিতীয় বার রাষ্ট্রপতির শাসনে আশায় সরকারি ও বেসরকারি নথিপত্রে তৃতীয় লিঙ্গের আর কোন উল্লেখ থাকবে না। এই নিয়ে গোটা ইউএস ঘিরে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে নিয়ে হচ্ছে প্রতিবাদ।
বিশ্বজুড়ে ট্রান্সজেন্ডার অথবা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা নিজেদের সমান অধিকারের জন্য এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কারণ তাদেরকে সাধারণ মানুষদের মতো সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না এবং সমাজে তাদের ঠাঁই বরাবর এক কোনায় , কিন্তু তার মধ্যে ভারত সহ প্রায় কুড়িটি দেশ তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের সরকারি এবং বেসরকারি সুযোগ ও সুবিধা সহ সাধারণ মানুষদের মতো সমান অধিকারের অধিকারী করেছেন।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় বার রাষ্ট্রপতি পদের শপথ নেওয়ার পর তিনি ঘোষণা করেন এবার থেকে পাসপোর্ট, ভিসা, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং জাতীয় কার্ড সহ বাকি সরকারি জায়গা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের কোন উল্লেখ থাকবে না অর্থাৎ যে কোন সরকারি নথিপত্রে এবার থেকে শুধু পুরুষ এবং স্ত্রীর লিঙ্গের উল্লেখ থাকবে। সংবাদ মাধ্যমে ট্রাম্প জানিয়েছেন “কোন ব্যক্তির মানসিক গঠনের উল্লেখ কোন সরকারি নথিপত্রে থাকবে না সেখানে শুধু তাদের শারীরিক গঠনের উল্লেখ থাকবে”, তাই তিনি পুরুষ এবং স্ত্রী লিঙ্গের উল্লেখ রেখেছেন।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে আমেরিকার তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘হিউম্যান রাইট্স ক্যাম্পেন’-এর সভাপতি কেলি রবিনসন সহ বাকি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।