অবতক খবর, ২৮শে এপ্রিল ২০ :: লকডাউন এর দারুন সমস্ত জুটমিল সহ অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের ছাঁটাই না করা ও তাদের লক ডাউনের পয়সা বেতন হিসেবে দেওয়া জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার দুই সহকারই আবেদন জানিয়েছে।কিন্তু দুই সরকারকে আদেশ কে কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না জুট মিল মালিক সংগঠন। এমন অবস্থায় বারবার আবেদন অনুরোধ জানিয়ে যখন কোন কিছু কাজ হয়নি তখন রিলায়েন্স জুট মিলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব পক্ষ থেকে ভাটপাড়া থানায় শ্রমিক নেতারা হাজির হন ও সকলে মিলিত ভাবে রিলায়েন্স জুটমিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।

শ্রমিক নেতারা মিল মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন সরকারি নির্দেশ অমান্য করা ও শ্রমিকদের আইন ব্যবস্থা ভঙ্গ করতে বাধ্য করার অভিযোগ আনেন তারা। শ্রমিকদের শোষণ ও তাদের হকের পয়সা জুট মিল কর্তৃপক্ষ মেরে দিচ্ছে সেই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি এফআইআর দায়ের করল সংগঠনগুলি।
এ আই টি ইউ সি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিত কুমার সাউ জানান শ্রমিকদের হকের পয়সার মিল মালিক বারবার বলে যখন দিচ্ছে না তখন তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি জানান শ্রমিকদের হকের পয়সা জুটমিল ম্যানেজমেন্ট মেরে দিতে চাইছে যেটা তারা হতে দেবেন না।
সিটু র পক্ষে এফআইআর দায়ের করতে উপস্থিত হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের শ্রমিক নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জী। গার্গী চ্যাটার্জী জানান কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার দুই সরকারই মিলে মালিকদের তোষণ করছে। তিনি জানান বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলই মালিকদের খুশি করে রাখতে চাইছে তাদের থেকে বোঝাপড়া করেই তারা শ্রমিকদের টাকা মেরে দিতে চাইছে জুট মিল মালিক পক্ষ। গার্গী চ্যাটার্জী জানান সরকারি আদেশ থাকা সত্ত্বেও কি করে মালিকপক্ষ টাকা মেরে দিতে পারে সরকারের আদেশ শুনবে না তা কি হতে পারে? সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই জুট মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের টাকা নিয়ে এই টাল বাহানা চলছে।
আই এন টি ইউ সির পক্ষে শ্রমিক নেতা রাজেশ পাসওয়ান জানান। আমরা বারে বারে মালিকপক্ষ কাছে আবেদন জানিয়েছি, তাদের ডেপুটেশন দিয়েছি। অনুরোধ করেছি কিন্তু মালিকপক্ষ আমাদের শ্রমিকদের কথা কিছুতেই শুনছে না। বাধ্য হয়েই এই এফআইআর আর এই এফআইআর পরেও যদি পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নেয় তাহলে বোঝা যাবে যে তৃণমূল সরকার শ্রমিকদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে।









