গণিতজ্ঞ জ্যোতির্বিদ ও কবি ওমর খৈয়ামের প্রয়াণ-দিবস আজ

ওমর খৈয়ামকে সামনে রেখে

জীবন হেঁটে যায়
তমাল সাহা

১)
মানুষই তো গণিত আবিষ্কার করে
গণিতের উত্তর মেলে ও মেলাতে পারে,
জীবনের অঙ্ক মেলাতে পারেনা।
মিলিয়ে কি লাভ বলো
তবে তো ভালোবাসা চলে গেল!

২)
জীবন তো জ্যামিতিই বটে
তোমাকে আঁকতে পারি
সেটা বড় কথা নয়।
তুমি উপপাদ্য হলে বড় ভালো
তোমাকে আঁকাই প্রতিপাদ্য
ভালোবাসা ছুঁয়ে ছুঁয়ে প্রমাণ করতে হয়!

৩)
জ্যোতির্বিদরাই আকাশ ভালো চেনে
জানে সব নাক্ষত্রিক আশ্চর্য।
প্রেমিকার মতো তাদের নাম রাখে
তোমাকে জড়িয়ে রাখে অনিবার্য।

৪)
ভালোবাসা তাঁবুর মতো
তার ভেতর শুয়ে থাকো তুমি
তোমাকে আশ্রয় করে বাঁচা যায়।

যতদিন বাঁচি আমি একটা তাঁবু চাই
বেঁচে থাকি যেন তাহার ছায়ায়!

৫)
ইহকাল নিয়ে ভাবো
পরকাল তো পরের কথা।
বেহেস্তে না জাহান্নামে যাবে
এখন ভাবো কবিতা ও মানবতা।

৬)
ইন্তেকালে মাটিই ভালো
কবরের উপর পাহারা দেবে ঘাস।
মৃত্যুর পরেও তোমাকে দেখার
কেউ তো রইলো পেয়েছো আশ্বাস!

৭)
জীবনে কী চাই আর!
এক পেয়ালা পানীয় এক টুকরো রুটি।
পাশে দাঁড়িয়ে মনসৃজা বৃক্ষলতা
কলমে হাত,
শব্দনূপুর পায়ে হেঁটে যাবে কবিতা
তারপর তো একদম ছুটি !

৮)
গতকাল কী হয়েছে তুমি জানো
আজ তা অতীত ফিরেও পাবে না
যদিও গতকাল তা বর্তমান ছিল।

এখন আজ নিয়ে ভাবো।
মদ মানেই শরাব ভেবোনা
আত্মহারা শব্দটি বোঝো।
সাকী আর কিছুই নয় প্রফুল্লতা
আগামীকাল কি হবে তুমি জানো না
মুহূর্ত নিয়ে বাঁচো!

৯)
আমার কিছু শনের কাপড় চাই
চাই মোটা সূচ ও সুতো
থাকবে জানালা দরোজা
আমি বানাবো একটি তাঁবু
তার গায়ে লেখা হবে আশ্রয়ের কবিতা।

কেটে যাবে জীবন, সমস্ত প্রহর-যাম
আমি হয়ে থাকবো মানুষের গোলাম
আমার বড় শখ, হতে চাই তাঁবুর কারিগর
একটা ভবঘুরে পাগলা খৈয়াম।